- Home
- West Bengal
- Kolkata
- বঙ্গে এসআইআর-ভোটার শুনানি তরজা, কমিশনের কাছে বিশেষ দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের
বঙ্গে এসআইআর-ভোটার শুনানি তরজা, কমিশনের কাছে বিশেষ দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের
TMC On Sir Issues: এসআইআর-ভোটার শুনানি শুরু হতেই জেলায়-জেলায় আতঙ্ক। উঠছে একাধিক অভিযোগ। এবার কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বঙ্গ এসআইআর-ভোটার শুনানি তরজা
রাজ্যজুড়ে এখন চলছে এসআইআর বা ভোটার তালিকা নিবিড় সমীক্ষার শুনানি। আর যা নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই সরব ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রবীণদের হয়রানি থেকে একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরাসরি রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককের দফতরে গিয়ে এসআইআর ইস্যুতে কমিশনকে একহাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি
সূত্রের খবর, কমিশন ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের বাড়িতে গিয়ে এসআইআর-এর শুনানির কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরও বয়স্কো ভোটারদের শুনানির নামে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। যাঁরা অসুস্থ তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে বা যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন বা কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তাঁদের কী ভার্চুয়ালি শুনানির ব্যবস্থা করা হবে? শুনানির জন্য হয়রানি বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? জয় গোস্বামীর মতো বিশিষ্ট কবিকে শুনানির নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে কমিশন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেই সমস্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে কারা ছিলেন?
সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ বাপি হালদার, মন্ত্রী পুলক রায়, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশন জ্ঞানেশ ভারতীও। বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘’৮৫ বছরের সঙ্গে যাঁরা অসুস্থ, অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁদের যাতে শুনানিতে সশরীরে আসতে না হয়, সেই দাবি আমরা প্রথম থেকে করেছি। সেই দাবি আমরা আজকেও করেছি। এমন নাগরিকরা বিএলও কে জানাবেন। সেই মতো আধিকারিকরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে শুনানি করবেন। এই দাবি আমরা করেছি মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের কাছে। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।''
তালিকা প্রকাশের দাবি তৃণমূলের
‘’আমরা প্রথম থেকেই তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে এসেছিলাম। কমিশন আজ জানিয়েছে ইআরও ও বিএলও-দের কাছে সেই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের দাবি যে ন্যায্য ছিল, তা প্রমান হল। যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা করছে বা কর্মরত রয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের ভার্চুয়ালি শুনানি করতে হবে। তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে ছবি নিয়ে মিলিয়ে নিতে হবে। শুধুমাত্র শুনানির জন্য বিদেশ থেকে বিশাল টাকা খরচা করে তাঁরা কেন আসবেন? সেই টাকা কে দেবে? তাই আমরা তাঁদের ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন করেছি। কারণ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন একজন অবৈধ নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া যাবে না।''
কমিশনের কাছে বিশেষ দাবি তৃণমূলের
‘’৫০ বছর ধরে যাঁরা রাজ্যের নাগরিক, কিন্তু ১১টা নথি নেই, ২০০২ তালিকায় বাবা বা মায়ের নাম নেই, যথাযথ এনকোয়ারি করে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এই সংখ্যাটা খুবই কম। সেক্ষেত্রে তাঁদের এলাকায় গিয়ে খতিয়ে দেখা হোক। এবং তাঁদের দাদা-কাকাদের নাম ২০০২ ভোটার তালিকায় থাকলে, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা আমাদের দাবি কমিশনকে জানিয়েছি, এখন দেখা যাক তারা কি সিদ্ধান্ত নেয়।''

