সংক্ষিপ্ত

শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় মুকুল রায় উন্নতির দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রী-সহ দলীয় সহকর্মীরা তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছেন।

 

ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বের করে আনা হল প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুকুল রায়কে। তবে বর্তমানে তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আচ্ছন্নভাব এখনও পুরোপুরি কাটেনি। কিন্তু এখন কিছুটা হলেও সাড়া দিচ্ছেন। বিধায়ক মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এই তথ্য দিয়েছেন রবিবার। যদিও রবিবার সকালের দিকে মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় মুকুল রায় উন্নতির দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রী-সহ দলীয় সহকর্মীরা তাঁর খোঁজ খবর নিয়েছেন। মুকুল রায় প্রায় চারদিনের মাথায় কিছুটা হলেও সুস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তিনি আরও বলেছেন, 'অস্ত্রোপচারের পরে যেমন অবস্থা হয়েছিল তার থেকে কিছুটা হলেও ভাল আছেন এখন। অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তবে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হয়েছে। ডাকলে এখন একটু সাড়া দিচ্ছেন। আমরা আশা করি উনি ভালোর দিকে যাবেন। চিকিৎসকেরা অত্যন্ত সহযোগিতা করছেন। সর্বক্ষণ বাবাকে নজরে রেখেছেন। যে সমস্যাটা ছিল সেই সময় পড়ে যাওয়ার পরে মাথায় রক্ত জমাট বেধেছিল। এখন আর সেই সমস্যা নেই।'

বুধবার রাতের দিকে তিনি পড়েগিয়েছিলেন। আহত হয়েছে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর মুকুল রায়কে সর্বক্ষণের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তৈরি কর হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ড। সম্প্রতি স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন ৭০ বছরের মুকুল রায়। অধিকাংশ সময় নিজের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই কাটাতেন। বুধবার নিজের বাড়ির বাথরুমে পড়ে যান। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেরেন।

মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে ২০১৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে তিনি প্রথম বিধায়ক হন। যদিও পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে জিতে মুকুল রায় ২০২১ সালে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন বলে দাবি করে। যদিও মুকুল রায় এই বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়েননি। বাংলায় তাঁকে চাণক্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়। দলবদলের আগে পর্যন্ত মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁকে তৃণমূলের সেনাপতি বলা হত। তৃণমূলের অন্দরে বলা হত, দলের সংগঠনকে তিনি নিজের হাতের তালুর থেকেও ভাল চিনতেন। দলের অধিকাংশে নেতানেত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখতেন। দল বদলের বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ও সখ্যতা ছিল দেখার মত। অমিত শাহের বিশেষ কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। যদিও বিজেপি মুকুল রায়ের হাতে সংগঠনের গুরুদায়িত্ব কখনই ছাড়েনি। তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি অনেকটাই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যাইহোক বিধায়ক হওয়ার আগেই মুকুল রায়ে সাংসদ হয়েছেন। তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও পালেন করেছেন।