সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায় অনুযায়ী, শুধুমাত্র জমির রেজিস্ট্রিই মালিকানা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়। সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করতে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে এবার এল নয়া রায়। প্রকাশ্যে এল সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায় জানা গেল। আইনি মালিকানার জন্য প্রয়োজন আরও অনেক কিছু। এতদিন অনেকেই মনে করতেন শুধুমাত্র জমির রেজিস্ট্রি করে নিলেই তার আইনি মালিকানা পাকা হয়ে যায়। কিন্তু, দেশের শীর্ষ আদালত এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, শুধু রেজিস্ট্রেশনই যথেষ্ট নয়।

আদালতের মতে, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত প্রতারণা ও বিতর্ক কমানো। এতদিন রেজিস্ট্রের ওপর ভিত্তি করে অনেকে প্রতারিত হয়েছেন। এই রায়ের ফলে এখন থেকে সম্পত্তির কেনাবেচার ক্রেতাকে সতর্ক করতে নয়া পদক্ষেপ সরকারের। কোনও সম্পত্তি কেনার আগে শুধু রেজিস্ট্রি নয়, অন্যান্য সব নথিপত্রও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর সম্পূর্ণ মালিকানা পেতে ১২ টি বিশেষ নথিপত্রের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। এগুলো হল-

বিক্রয় দলিল- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দলিল। যা একজন থেকে অন্যজনে সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করে।

মাদার ডিড - এটি সম্পত্তির পূর্বরর্তী মালিকানার পুরো ইতিহাস তুলে ধরে।

বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি- এই চুক্তিতে বিক্রয় ও ক্রেতার মধ্যে লেনদেনের সব শর্ত উল্লেখ থাকে।

ভবন অনুমোদন পরিকল্পনা- বাড়ি তৈরির আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেওয়া অনুমোদন।

পজেশন লেটার- এটি প্রমাণ করে যে সম্পত্তির দখল এক পক্ষ থেকে অন্য পক্ষে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কমপ্লিশন সার্টিফিকেট- এই নিশ্চিত করে যে ভবন নির্মাণ স্থানীয় নিয়ম মেনে করা হয়েছে।

খাতা সার্টিফিকেট- এই রাজস্ব নথিতে সম্পত্তির আকার, স্থান ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য থাকা।

অ্যালটমেন্ট লেটার- সম্পত্তি কেনার পর ডেভেলপার বা বিক্রেতা এই চিঠি জারি করেন।

এনকামব্র্যান্স সার্টিফিকেট- এই শংসাপত্র নিশ্চিত করে যে সম্পত্তিতে কোনও দায়বদ্ধতা বা আইনি বিতর্ক নেই।

এনওসি- যদি সম্পত্তিটি ঋণের বিপরীতেথাকে, তবে ঋণ শোধের পর এই শংসাপত্র প্রয়োজন।

পরিচয় ও ঠিকানা প্রমাণ- ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য বৈধ পরিচয়পত্র ও ঠিকানা প্রমাণ থাকা আবশ্যক।

RERA সার্টিফিকেট- এবার থেকে RERA রেজিস্টেশন বাধ্যতামূলক।