পরিবার বছর দু'য়েক আগে একজন জ্যোতিষের পরামর্শে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও করে বসেছিল এবং তাঁকে মৃত ধরে নিয়েছিল। তবে এবার এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য নথি দেখার টানেই জগবন্ধু আবার বাড়িতে ফিরেছেন বলে পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
মৃত ভেবে শ্রাদ্ধশান্তিও করে ফেলেছিলেন পরিবারের লোকেরা। SIR শুরু হতেই বাড়ি ফিরলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার জগবন্ধু মণ্ডল! উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মেহেরানি কুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা জগবন্ধু মণ্ডল। ২৮ বছর আগের গ্রামেরই কয়েকজনের সঙ্গে কাজের সন্ধানে গুজরাতে গিয়ে আর ফেরেননি তিনি। SIR শুরুতে হতেই হাজির বাড়িতে। তিনি যে এখনও বেঁচে আছেন, তা ভাবতেই পারিনি পরিবারের লোকেরা।
প্রায় ২৭ বছর পর গ্রামে ফিরে নিজের বাড়িও পাননি জগবন্ধুকেও । তাঁকে চিনতে পেরে বাড়িতে পৌঁছে দেন প্রতিবেশীরাই। পরিবার বছর দু'য়েক আগে একজন জ্যোতিষের পরামর্শে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও করে বসেছিল এবং তাঁকে মৃত ধরে নিয়েছিল। তবে এবার এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য নথি দেখার টানেই জগবন্ধু আবার বাড়িতে ফিরেছেন বলে পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রায় দু দশকেরও বেশি সময় আগে আগে কাজের সন্ধানে গুজরাট গিয়েছিলেন তিনি। বাকিরা ফিরে আসলেও তিনি ফেরেননি। পরে পরিবারের কাছে খবর আসে যে বাঁকুড়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পরিবারের চোখে পড়েনি। ফলে তাঁরা তাঁকে মৃত বলে ধরে নিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, ভোটার তালিকায় জগবন্ধু মণ্ডলের নাম সুলেখা মণ্ডলের পাশে স্বামী হিসাবে দেখা যায়। কিন্তু জগবন্ধু নিজে এ নিয়ে বলছেন, তিনি বিয়ে করেননি। পুরো ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এসআইআর-র নথির কারণে যে ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, তার আরেকটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে এই ঘটনা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জগবন্ধুর বয়স ৪০-এর বেশি। প্রায় দু দশকেরও বেশি সময় আগে আগে কাজের সন্ধানে গুজরাট গিয়েছিলেন তিনি। বাকিরা ফিরে আসলেও তিনি ফেরেননি। পরে পরিবারের কাছে খবর আসে যে বাঁকুড়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পরিবারের চোখে পড়েনি। ফলে তাঁরা তাঁকে মৃত বলে ধরে নিয়েছিলেন।


