সংক্ষিপ্ত
নবান্নের তরফ থেকে মঙ্গলবার বিজেপির বাংলা বনধের ডাক দেওয়ার পর যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশিকায় বুধবার তারা কি কি করতে পারবেন আর কি কি করতে পারবেন না সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন অভিযানে ছাত্র সমাজের উপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপির ১২ ঘন্টার বাংলা বনধকে ব্যর্থ করতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে প্রশাসন থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড দেখতে পায় গোটা রাজ্য।
নবান্নের তরফ থেকে মঙ্গলবার বিজেপির বাংলা বনধের ডাক দেওয়ার পর যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশিকায় বুধবার তারা কি কি করতে পারবেন আর কি কি করতে পারবেন না সেই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বনধের দিন বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বনধে সাধারণ মানুষ যাতে শামিল না হন তার জন্য আহ্বান জানান। এতে ব্যবসা থেকে শুরু করে শিক্ষা, কর্মজীবন সবকিছুর ক্ষেত্রেই ক্ষতি হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি সামনেই দুর্গাপুজো আর সেই কারণে ব্যবসায়িক বড় ক্ষতি হতে পারে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
নির্দেশিকা অনুযায়ী বুধবার কোন সরকারি কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ নিতে পারবেন না। জানানো হয়েছে সমস্ত রকম সরকারি এবং সরকার পোষিত সংস্থা খোলা থাকবে। হাজিরাও রাখতে হবে স্বাভাবিক। নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, যারা বুধবার উপস্থিত থাকবেন না তাদের ডাইস নন হিসাবে বিবেচিত করা হবে এবং তারা ওই দিনের জন্য বেতন পাবেন না।
যদিও কড়াকড়ি এই নিয়মে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেগুলি হল, কোন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, পরিবারের কারো মৃত্যু হলে, গুরুতর অসুস্থ এবং আগে থেকে যদি ছুটি নেওয়া থাকে, এছাড়াও চাইল্ড কেয়ার লিভ, মেডিকেল লিভ, আর্নড লিভ নেওয়া রয়েছে এমন সরকারি কর্মচারীদের উপর নতুন এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।