সংক্ষিপ্ত
ঘটনার দিন কার ডাকে আরজিকরে যায় সঞ্জয়? হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই বা কাকে ফোন! সিবিআই-এর হাতে এল নতুন তথ্য প্রমাণ
রোজ সকাল সন্ধ্যায় আরজিকর হাসপাতালে দেখা যেত ধৃত সঞ্জয় রায়কে। রাত ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত সাধারণত হাসপাতালেই থাকত সঞ্জয়। তবে কোনও কোনও দিন রাত ১২টা পর্যন্তও আরজিকরে দেখা গিয়েছে তাকে। তদন্তে এমনই তথ্য পেয়েছে সিবিআই। খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে সঞ্জয়ের মোবাইয়ের সমস্ত নথি।
কিন্তু ঘটনার দিন অর্থাৎ রাত ৮ অগাস্ট মধ্য রাতেও হাসপাতলে কী করছিল ওই সিভিক ভলান্টিয়ার? এই প্রশ্নই বারবার দানা বাঁধছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের মনে। ঠিক কোন কারণে মধ্য রাতে আরজিকরে গিয়েছিল এই সিভিক ভলান্টিয়ার?
এই বিষয়ে বারবার জেরা করেও সঠিক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি সঞ্জয়ের কাছ থেকে। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, সঞ্জয়কে ফোন করেই ওখানে ডাকা হয়েছিল। তবে কে ফোন করেছিল বা কেন যেতে বলা হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত জানায়নি সঞ্জয়।
কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সূত্র থেকে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডস থেকে স্পষ্ট জানা গিয়েছে যে ৮ অগস্ট মধ্যরাতে এবং ভোরের দিকে কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল সঞ্জয়।
শুধু তাই নয়, শুধু আরজিকরে ঢোকার সময়তেই নয়, বেরিয়ে যাওয়ার সময়তেও ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় সঞ্জয়ের।
এই সত্যতা জানতেই পলিগ্রাফি টেস্ট করা হয় সঞ্জয় রায়ের কিন্তু উত্তর না মেলায় এবার নার্কোঅ্যানালিসিস পরীক্ষার জন্যও শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টে আর্জি জানায় সিবিআই।
কিন্তু এই পরীক্ষায় রাজি হয়নি সঞ্জয় বলে জানা গিয়েছে। ফেল সিবিআইয়ের নারকো টেস্টের দাবি আদালত থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ কারও সম্মতি ছাড়া নার্কো পরীক্ষা করা সম্পূর্ণ অসংবিধানিক বলে জানিয়েছে আদালত।
নার্কো পরীক্ষা নিয়ে অভিযুক্তের বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়েছে। সঞ্জয়ের হয়ে কোনও উকিলও দাঁড়াতে চাননি এদিন। তাই তাঁর হয়ে মামলা লড়েছেন লিগাল এড ডিফেন্স কাউন্সেলের আইনজীবী। তবে তিনিও সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষায় সায় দেননি।
জানা গিয়েছে অভিযুক্তের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির মাথাদের সঙ্গেও দারুণ যোগাযোগ ছিল। ওই দিন আরজিকরে ঢোকা বা বেরনোর সময় ঠিক কার সঙ্গে কথা বলেছিল সঞ্জয় তা নিয়ে ওই পুলিশ কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও ৯ অগাস্ট সকালে আরজিকরের সেমিনার রুমের কাছেপিঠের একটি ভিডিও-ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে সিবিআই বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির আগেই সব তথ্য প্রমাণ জোগার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।