সংক্ষিপ্ত
স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি।
স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে এই প্রথম সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালো ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার লিখিত চিঠি দিয়ে এই বিষয় স্পষ্টভাবে জানানো হল। পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়,পঞ্চায়েত নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। এমনকী বিডিও-এর তত্ত্ববধানেই এই কাজ হচ্ছে বলে দাবি করছে গেরুয়া দল। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে,'স্বচ্ছ এবং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে মাস্টার ফিল্ম পুড়িয়ে ফেলা হোক। যেহেতু এর আগের বিভিন্ন উদাহরণ থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় পুলিশ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনী হিসেবেই কাজ করে, ফলত মাস্টার ফিল্ম কোনও অবস্থাতেই তাঁদের হেফাজতে রাখা যাবে না।' পাশাপাশি নির্বাচনে সম্পূর্ণ সিসিটিভি কভারেজেরও দাবি করে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারে মমতার সভার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষের সাক্ষী কোচবিহার। মঙ্গলবার সকালে গুলি চলল দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা গ্রামে। ঘটনায় নিহত এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম বাবু হক। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পদ্মদল। মঙ্গলবার সকালে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
সূত্রের খবর মঙ্গলবার ভোররাতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটার গিতালদহের জারিধরলা গ্রাম। দফায় দফায় চলে গুলিও। দু'তরফা গোলাগুলির মাঝেই মৃত্যু হয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের। ঘটনায় আহত আরও ৬। তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের কোচবিহারে রেফার করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানুতোর সৃষ্টি হয়েছে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।