সংক্ষিপ্ত

বুথের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথের মধ্যেই শূন্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেনজির সন্ত্রাস বাংলাজুড়ে। ভোটের দিনই রাজ্যে নিতহ কমপক্ষে ১২ জন। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারের পর এবার অশান্ত নদিয়া। অশান্তি ঠেকাতে বুথের মধ্যেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাতিশালায়। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুথ দখলের উদ্দেশ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথারি বোমা ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকায়। ভয় ভোট দিতে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না ভোটাররা। বুথের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথের মধ্যেই শূন্যে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসা। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে ১১ জনের প্রাণ গেল। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রইল ভোটের দিনও। শনিবার সকাল থেকে বোমা গুলিতে উত্তপ্ত হয়ে ছিল গণতন্ত্রণের উৎসবমঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালদা ,মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার -সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

কাটোয়ায় ১ তৃণমূল কর্মীকে বুথ থেকে টেনে বের করে মারতে মারতে পিটিয়ে খুন করা হয়। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় অভিযোগ সিপিএম এর দিকে। প্রত্যক্ষদ্রশীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীকে বুথ থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনা হয়। তারপর সকলের সামনেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করে সিপিএম কর্মী। গোটা ঘটনায় প্রশাসন নীরত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও জওয়ান ছিল না।