সংক্ষিপ্ত
২৪ ঘন্টার মধ্যে ট্রেনে করে কোনও মতেই আসতে পারবে না বাহিনী। তাই এবার এয়ারলিফট করে বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিকে ভোটের দিন যাতে কোনও রকমের কোনও অশান্তি না হয় সেদিকেই কড়া নজর রাখছে প্রসাশন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে রাজ্যে পৌঁছবে বাহিনী? ২৪ ঘন্টার মধ্যে ট্রেনে করে কোনও মতেই আসতে পারবে না বাহিনী। তাই এবার এয়ারলিফট করে বাহিনী আনার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।
নির্বাচন সুষ্টুভাবে পরিচালনা করতে আজই লে থেকে এয়ারলিফটিং করে আনা হচ্ছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্ল্যাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। আকাশপথে প্রথমে পানাগড় এয়ারবেসে পৌঁছবে বাহিনী। সেখান থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট বুথে মোতায়েন করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ১টা বা দুটো বুথ থাকলে ওই এলাকায় হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে। যেখানে বুথের সংখ্যা ৩টে বা ৪টে সেখানে ১ সেকশন অর্থাৎ ৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ৫টা বা ৬টা বুথ থাকলে সেই এলাকায় দেড় সেকশন মানে ১২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ৭ বা তার বেশি বুধ থাকলে ২ সেকশন বা ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
উল্লেখ্য, বিএসএফ-র আইজি বলেছেন, সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশের সদস্যদেরও রাখতে হবে। তবে তাতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।
কারণ রাজ্য নির্বাচনে কমিশের চাহিদা মত রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এক কোম্পানিতে ৮০ জন করে জওয়ান থাকবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৬৫ হাজার। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। রাজ্য পুলিশের সংখ্যা ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে রাজ্যে হাতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ১৩৫০০০ । তাই সব বথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। তবে ৫০ : ৫০ অনুপাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যে পুলিস মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।