সংক্ষিপ্ত

আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভাঙড় ২ ব্লকের ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। বোমা গুলি ইটবৃষ্টিতে বারবারই সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল-আইএসএফ। ইতিমধ্যেই সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে দু'দলেরই বেশ কিছু সদস্যের। এখানেই শেষ নয়। রাতারাতি তালিকা থেকে বাদ আইএসএফ প্রার্থীর নাম বাদ পড়ারও অভিযোগ উঠেছে। আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ভাঙড় ২ ব্লকের ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মনোনয়ন বাতিল বলেই জানায় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে মনোনয়ন বহাল রাখার আবেদন জানায় আইএসএফ প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। দিন শুনানির শুরুতেই শাসকদলের আইনজীবীর কথায় বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি। এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ জুন প্রত্যাহারের শেষদিন অবধি তালিকায় আইএসএফ প্রার্থীদের নাম ছিল। কিন্তু সেইদিন রাতের মধ্যেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে ৮১ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম। পরে জানা যায় ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই বক্তব্য শুনে বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেন,'নির্বাচন নিয়ে এগুলো কী হচ্ছে? আমি তো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।' অন্যদিকে শাসকদলের আইনজীবীর বক্তব্য,'আমরা আনকন্টেস্টেড। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছি। এমনকী জয়ী প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে।' এই জবাবে বিচারপতি বললেন,'আনকন্টেস্টেড!আপনারা জিতেও গেলেন?'

প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠেছিল মামলাটি। তিনি সরাসরি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই রাজ্যের কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করা যাবে না। তারপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তাতেই রাজ্য সরকার আপত্তি জানায়। অমৃতা সিংহের রায়ের বিরুদ্ধে এবার রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে।