সংক্ষিপ্ত
মনোনয়ন পর্ব থেকে নানা অশান্তির খবর আসায় বিরোধীদের দাবি ছিল এই বুথগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যজুড়ে একের পর এক অশান্তির ঘটনা। ভাঙড়, কোচবিহার, পুরুলিয়া, বাসন্তী-সহ একাধিক এলায় খুন, বোমাবাজী, হুমকি ও মারধরের ঘটনার জেরে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। মানুষ যাতে নিরাপদে ভোট দিতে পারেন তার জন্য কমিশনকে সব রকমের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়েও প্রথমে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছিল। পরে আদালতের নির্দেশে সেই দাবি মেনে নেয় কমিশন। তবে এত কিছুর পরেও কমিশনের তালিকায় মাত্র ৮ শতাংশ বুথকে চিহ্নিত করা হয়েছে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে। মনোনয়ন পর্ব থেকে নানা অশান্তির খবর আসায় বিরোধীদের দাবি ছিল এই বুথগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এই বুথগুলিতে কোনও বাড়তি বাহিনী দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পরিচালনার জন্য আগেই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটের পরে রাজ্যে আধা সেনার মোতায়ন থাকার কথা ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। মানুষ যাতে সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তাই ভোটের পরেও আরও ১০ দিন অর্থাৎ ৮ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এছাড়া বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আবহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে সেবিষয় বিশেষ জোর দিচ্ছে আদালত। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচনের আবহে রাজ্যে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে সে সিদ্ধান্ত বিএসএফ-এর আইজি নেবেন বলে জানায় আদালত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের কর্তারা তাঁকে সাহায্য করবেন। আজই রাজ্যে পৌঁছবে ৮০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় আজ শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় ভোট পরবর্তী আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন থাকবে রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মিছিল করবে বিজয়ী দলেরা, সেক্ষেত্রেও অশান্তির আশঙ্কা থাকছে। তাই ভোটের ফল ঘোষণার পর অন্তত দু'সপ্তাহ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।