সংক্ষিপ্ত

শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই বুথে বুথে পৌঁছাতে শুরু করেছে ভোটকর্মীরা।৬৩ হাজারের বেশি আসনে একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ হবে

 

৬৩ হাজারের বেশি আসনে একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে গেছে। শেষ পর্বের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই বুথে বুথে পৌঁছাতে শুরু করেছে ভোটকর্মীরা। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরাও ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে শুরু করেছে। যদিও এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। শনিবার, ৮ জুলাইয়ের মধ্যে তা সমাধান হবে বলেও মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ নিরাপত্তার কারণে বুথে এক জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কমপক্ষে ২ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার পক্ষেই সওয়াল করছে তারা। কারণ পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসার কারণে। যদিও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি রাজ্যে ভোট প্রস্তুতি ছিল অনেকটাই শান্তিপূর্ণ।

পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বেঃ

পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার কর্মী পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা দায়িত্ব সামলাবেন। প্রত্যেক বুথে একজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। প্রত্যেক সেক্টরের জন্য একজন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেক আরটি মোবাইলে একজন ইন্সপেক্টর ওকজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। প্রক্যেত HRFSএ একদন করে ইন্সপেক্টর ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল ১ জন কনস্টেবল গ্যাস গান ও একজন লাঠিধারী কন্সটেবল থাকবে। প্রতিটি DCRC একজন অফিসার ও দুজন করে সশস্ত্র কনস্টেবল ও লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে। স্ট্রংরুমে ২ জন অফিসার ও ৮ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ

পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩.৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ২২টি জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে , ৯৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে,৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে ভোট গ্রহণ হবে শনিবার। সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত লাইনে যারা দাঁড়াবেন তাঁদের ভোট গ্রহণের অধিকার দেওয়া হবে।

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই এই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।  বিরেধীরা নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন বিন্যাস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মত কেন্দ্রীয় বাহিনীও পাঠিয়েছে এই রাজ্যে।

আরও পড়ুনঃ

রাহুল গান্ধীর জন্য বড় ধাক্কা গুজরাট হাইকোর্টের রায়, মোদী পদবী মামলায় কংগ্রেস নেতার আবেদন নাকচ

ফেসবুকের নতুন অ্যাপ মেটার 'থ্রেডস' শুরুতেই ঝড় তুলেছে, মাস্কের টুইটারে বাড়ছে বিপত্তি

Pre Poll Violence: ভোট সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বাংলা, পঞ্চায়েতের ভোটের আগেই কোচবিহারে গুলি- ঝাড়গ্রামে প্রার্থী অপরহণ