সংক্ষিপ্ত
আইএসএফ-সহ মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিরোধী প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পুলিশের ভূমিকায়। তাঁদের দাবি এলাকায় দেখাই যাচ্ছে না পুলিশকে। এমকী পুলিশের সামনেই বাঁশ নিয়ে প্রার্থীদের তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে।
পঞ্চম দিনেও অব্যহত অশান্তি। মঙ্গলবারের পর বুধবারেও পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে গণ্ডোগোল লেগেই রইল। এদিনও ফের মনোনয়ন জমা ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ভাঙরে। গতকালের মত আজও একই ছবি দেখা গেল ভাঙরে। ১৪৪ ধারার মধ্যেই বাঁশ -লাঠি নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াল দুষ্কৃতিরা। বুধবার ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও মুহুর্মুহু বোমাবাজী ও গণ্ডোগোলর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। এমনকী সংবাদমাধ্যমকেও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। আইএসএফ-সহ মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিরোধী প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পুলিশের ভূমিকায়। তাঁদের দাবি এলাকায় দেখাই যাচ্ছে না পুলিশকে। এমকী পুলিশের সামনেই বাঁশ নিয়ে প্রার্থীদের তাড়া করারও অভিযোগ উঠেছে।
বিরোধীরা যাতে মনোনয়ন জমা না দিতে পারে তার জন্য রাস্তাও অবরোধ করেছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বুধবার সকাল থেকেই অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে। এলাকায় বন্ধ যান চলাচল। বড়ালী থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত এলাকা প্রায় জনশূন্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙরের পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিরোধীরাও। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে জেলাশাসক ও পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিকের হস্তক্ষেপ চাইছে বিরোধীরা। এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে সিপিআইএম এবং বিজেপির তরফেও।
এর আগে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে তীব্র সংঘর্ষ বাঁধে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং তৃণমূলের মধ্যে। আইএসএফ-এর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। এরপরই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। ফলত প্রাথমিকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।
সূত্রের খবর সোমবার ভাঙর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষ বাঁধে দু'পক্ষের মধ্যে। চলে তীব্র বোমাবাজি। মুহুর্মুহু পড়তে থাকে বোমা। সাত রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। গোটা ঘটনার জন্য দু'পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার বড়শুলে। দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে, মারামারি ও ইট বৃষ্টির অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। জানা যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই আক্রান্ত হন তাঁরা। সূত্রের খবর, বর্ধমান দুই ব্লকের বড়শুলে সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটও। পুলিশ বাধা দিতে গেলে আহত হতে হয় তাঁদেরও।
আরও পড়ুন -
মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত তাই দেখা করেননি, নবান্নে থেকে বেরিয়ে বললেন আইএসএফ বিধায় নওশাদ সিদ্দিকি
নবান্নে মমতার দরবারে নওশাদ সিদ্দিকি, TMC-ISF সংঘর্ষে রীতিমত উত্তপ্ত ভাঙড়
বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হচ্ছে, জেনে নিন এর কারণ