সংক্ষিপ্ত

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে তাঁর মামাবাড়ির গ্রাম কুসুম্বাগ্রামের কথা। বীরভূমের মপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত এই গ্রাম। একে অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তার উপর নিজের শৈশবের গ্রাম। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ এলাকা বীরভূম। যদিও বীরভূম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে গণনায় দেখা যাচ্ছে উল্টো ফল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।

কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২১টি। যার মধ্যে কুসুম্বা গ্রামে রয়েছে ৩টি আসন। এই গ্রামই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাবাড়ি। নানা ভাষণে বারবার উঠে এসেছে এই গ্রামের কথা। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এখানেই মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল শিবির। মোট ৩টি আসনের মধ্যে ২টি আসনেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। একটি আসনে জিতেছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ গণনার দিনেও ভোট লুঠ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডায়মন্ড হারবার মডেল অনুসরণ করছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি নেতা সকাল বেলাই নির্বাচণ নিয়ে একটি লম্বা চওড়া পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'গণনার দিনও ডায়মন্ড হারবার মডেল পুরোদমে চলছে। তৃণমূলের গুন্ডারা বিরোধী এজেন্ট ও প্রার্থীদের বাধা দিয়ে ভোট লুট করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।' তিনি আরও বলেন বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের এক থেকে দুই কিলোমিটার দূরেই আটকে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কাউন্টিং এজেন্টদেরও ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, গণনাকেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি হচ্ছে। বিরোধীদের অপহরণ করে মারধর করা হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবার, কেশপুর, গলসী, কাটোয়া, বাগনান - একাধিক জায়গায় সন্ত্রাস হচ্ছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দু।