সংক্ষিপ্ত

ভাঙড়ের দুই নম্বর ব্লকের হাসিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে দায়িত্ব ছাড়ার আর্জি জানিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।

 

নিজের এলাকায় দলীয় প্রার্থীর হার কি মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙড়ের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম, নাকি দলের ওপর চাপ রয়েছে- বর্তমানে সেই প্রশ্নই বড় হচ্ছে। কারণ ১১ জুলাই ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই নিজের বুথে হার স্বীকার করে নিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন আরাবুল। ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দূর্দান্ত ফল করলেও এবার দলের দায়িত্ব ছাড়়তে চেয়ে দলের সভায় আবেদন করেছেন তিনি। তাতেই জল্পনা তৈরি হয়েছে আরাবুলকে নিয়ে।

বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দুই নম্বর ব্লকের হাসিশালায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে দায়িত্ব ছাড়ার আর্জি জানিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। সূত্রের খবর ভাঙড়ের দায়িত্বে থাকা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাকে আরাবুল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ভাঙড়ের দায়িত্ব যদি অন্য কেউ নিতে চায় তাহলে তিনি খুশি হবেন। তিনি তাঁকে সবরকম সহযোগিতা করবেন। আরাবুর আরও বলেছেন, তিনি সবার জন্য কাজ করতে পারেননি। পাশাপাশি এদিন ভাঙড়ের সন্ত্রাসের জন্য আরাবুল সারসরি প্রতিপক্ষ আইএসএফ-কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন, যেভাবে ভোট আর গণনা হয়েছে তা ভাবা যায় না! যারা জিতেছে , যারা হেরেছে বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তারা সকলেই বাড়িতে। দল এটা চায়নি। তিনি আরও বলেন, অনেকেই রয়েছে বড় ব়় কথা বলে, কিন্তু কাজের সময় তাদের পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে জীবন হাতে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। প্রতিটি আইএসএফ কর্মী বলছেন আরাবুল আর হাকিমুলের মাথা চাই। সওকত মোল্লাও আইএসএফ কর্মীদের নিশানায়। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি সওকত মোল্লাতেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তবে আরাবুলের আবেদন পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যায়. ভাঙড়ের দায়িত্বে থাকা সওকত মোল্লা জানিয়েছেন, দলের নির্দেশেই আরাবুল ইসলামকেই আহ্বায়ক করা হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে দল যতক্ষণ কোনও সিদ্ধান্ত না নেবে ততক্ষণ পদে থাকতে হবে আরাবুলকে। তিনি আরও বলেন আরাবুলের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা সুব্রত বক্স। তাঁরা যতক্ষণ এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নিচ্ছে ততক্ষণ পদে থাকতে হবে আরাবুলকে। আরাবুল যেভাবে কাজ করছেন সেভাবেই তাঁকে দলের জন্য কাজ করে যেতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন সওকত। তিনি আরও বলেছেন, দল তাঁকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই দায়িত্বই তিনি পালন করছেন।

পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এই এলাকা আরাবুলের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই এলাকায় নিজের বুথে জিততেও বাকিগুলিতে জিততে পারেনি তৃণমূল। গণনার দিনই কাউন্টিং চলার মধ্যেই কেন্দ্র ছাড়েন আরাবুল। সেই সময় তিনি বলেছিলেন কী আর করা যাবে। তারপরই আরাবুলের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তবে এদিন আবার নতুন করে আলোচনায় আরাবুল।