সংক্ষিপ্ত

নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নতুন প্রস্তব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর তথা বিএসএফ-এর আইজি। কোনও বুথে হাপ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারবে না।

 

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানার পর আইনি জট কেটেছে। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের চাহিদা মতই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রশ্ন ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী কি প্রত্যেক বুথেও মোতায়েন করা হবে? পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগেও সেই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দিতে পারেনি প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দীর্ঘ বৈঠক হয়। তাতে সমাধান সূত্র বারনি। এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নতুন প্রস্তব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর তথা বিএসএফ-এর আইজি। কোনও বুথে হাপ সেকশনের কমে বাহিনী থাকতে পারবে না। কোনও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে একটি বা দুটি বুথ থাকলে সেখানে হাফসেকশন অর্থাৎ পাঁচ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। যারমধ্যে ৪ জন সক্রিয়।। তিন থেকে চারটি বুথ থাকলে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। স্ট্র্রংরুমে এক কোম্পানি অর্থাৎ ৮০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন রাখা হবে।

বিএসএফ-র আইজি বলেছেন, সংবেদনশীল বুথগুলিতে আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্য পুলিশের সদস্যদেরও রাখতে হবে। তবে তাতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব হবে না বলেও মনে করা হচ্ছে।

কারণ রাজ্য নির্বাচনে কমিশের চাহিদা মত রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। এক কোম্পানিতে ৮০ জন করে জওয়ান থাকবে বলে যদি ধরে নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ৬৫ হাজার। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। রাজ্য পুলিশের সংখ্যা ৭০ হাজার। সব মিলিয়ে রাজ্যে হাতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে ১৩৫০০০ । তাই সব বথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। তবে ৫০ : ৫০ অনুপাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যে পুলিস মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।

নবান্ন সূত্রের খবর ভোটে শান্তি বজায় রাখতে ২২ জেলাতেই CRPF, BSF, CISF মিলিয়ে মিশিয়ে মোতায়েন করা হবে। ১১ জেলায় থাকবে CRPF, ৬ জেলায় CISF, ৯ জেলায় মোতোয়েন করা হবে BSF।

পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার কর্মী পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা দায়িত্ব সামলাবেন। প্রত্যেক বুথে একজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। প্রত্যেক সেক্টরের জন্য একজন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেক আরটি মোবাইলে একজন ইন্সপেক্টর ওকজন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। প্রক্যেত HRFSএ একদন করে ইন্সপেক্টর ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল ১ জন কনস্টেবল গ্যাস গান ও একজন লাঠিধারী কন্সটেবল থাকবে। প্রতিটি DCRC একজন অফিসার ও দুজন করে সশস্ত্র কনস্টেবল ও লাঠিধারী কনস্টেবল থাকবে। স্ট্রংরুমে ২ জন অফিসার ও ৮ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকবে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

পশ্চিমবঙ্গে মোট ৩.৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ২২টি জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে , ৯৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে,৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে ভোট গ্রহণ হবে শনিবার। সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত লাইনে যারা দাঁড়াবেন তাঁদের ভোট গ্রহণের অধিকার দেওয়া হবে।