সংক্ষিপ্ত

তিনটি জেলার তিনটি ব্লকেই বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। এই তিন ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে।

তিনটি জেলার তিনটি ব্লকে বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। কারণ হিসাবে নির্বাচন কমিশন বলেছে এই তিন ব্লকেই ব্যালট পেপার নষ্ট করা হয়েছে। এর ফলে এই তিনটি ব্লকেই ফের করা হবে পঞ্চায়েত ভোট। এখানে উল্লেখ্য, বাতিল হওয়া বুথের মধ্যে রয়েছে খবরে উঠে আসা সেই বুথ, যেখানে সিপিএম প্রার্থীর জয় আটকাতে ব্যালট পেপার খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব। জানা গিয়েছে, হাবড়া ২ ব্লকেরই ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার মহাদেবের ওই বুথ-সহ হাবড়া ২-এর মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল করেছে। এ ছাড়া সিঙ্গুরেরও একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।সেই বুথেও ফের ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

যা শোনা গিয়েছিল, তা হল, মহাদেব ৪ ভোটে হারছিলেন। সেই সময়েই বিপক্ষের ব্যালট পেপার খেয়ে নেন। যদিও মহাদেবের দাবি, যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা প্রমাণ ছাড়াই বলছেন। তিনি কখনওই গণনায় পিছিয়ে ছিলেন না। বরং ২৬ ভোটে জিতছিলেন। সে জন্যই বিরোধীরা তাঁর নামে ওই রটনা রটিয়েছেন। তবে মহাদেব ব্যালট খান বা না খান, নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে নিয়ে এই রটনা কোনও কাজে লাগল না।

তিনটি জেলার তিনটি ব্লকেই বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। এই তিন ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। মোট ১৫ বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে সেখানে। এর পরেই রয়েছে হাবড়া ২। এই ব্লকেরই ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব। নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার মহাদেবের ওই বুথ-সহ হাবড়া ২-এর মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল করেছে। এ ছাড়া সিঙ্গুরেরও একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

আপাতত কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী যে বুথগুলিতে ভোট বাতিল হয়েছে সেগুলি হল— সাঁকরাইলের মানিকপুর ২৪৭ থেকে ২৫৪ নম্বর পর্যন্ত মোট ন’টি বুথ। সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮ (দু’টি), ২৭১ (দু’টি) এবং ২৭৭ নম্বর বুথ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথ। এবং হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডার ১৮ নম্বর বুথ (দু’টি), ৩১ নম্বর বুথ এবং ওই গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথ।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও ব্যালটেই হয়। লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন কিন্তু হয় ইভিএমএ। বর্তমানে একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি আবারও ব্যালট পেপারেই লোকসভা বা বিধানসভা ভোট ফিরিয়ে আনা। বিরোধীদের অভিযোগ ইভিএমএ কারচুপি করা হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে এই রাজ্যে ব্যালট নিয়ে যে কাণ্ডকারখানা চলছে তাতে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে ব্যাটল ফিরিয়ে আনার দাবিতে সিলমহর দেওয়া কতটা ঠিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে। কারণ সাধারণ মানুষ যারা নিজেদের মত প্রকাশ করেছে ব্যালটে তাদের মতামতের দফারফা হতে দেখতে হল তাদের। শুধুযে গণনার দিন এমন হল তা নয়,ভোটের দিনও দেদার ছাপ্পা, ব্যালট বাক্স লুঠের ঘটনা ঘটেছে। পুকুরের জলে পড়ে থাকতে দেখা গেছে ব্যালট পেপার।