সংক্ষিপ্ত
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে জানিয়েছিলেন, এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে পারছেন না।সুস্থ হতে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
নিজের খরচ বহন করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এক্ষেত্রে ঝুঁকিও নিতে হবে খোদ প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীকে, এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারক। অসুস্থ থাকায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর । সরকারি হাসপাতালের প্রতি অনাস্থার কথা জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, এসএসকেএম-এ থেকে আমি সুস্থ হচ্ছি না। তাই সুস্থ হতে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়ে আবেদন জানান। পার্থর আইনজীবী বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়ে আর্জি করেছিলেন, যে হাসপাতালে প্রাক্তন মন্ত্রীর ভালো চিকিৎসা হবে সেখানেই যেন তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। গত ২০ জানুয়ারি জেলে অসুস্থ বোধ করায় নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবারই আদালতে পিটিশন জমা করা হয়েছিল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে জানিয়েছিলেন, এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে পারছেন না।সুস্থ হতে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট তলব করে পার্থের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায় আদালত। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের সমস্যাও রয়েছে। । সবকিছু দেখে বিবেচনা করে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, এসএসকেএম থেকে অন্য যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে যাবতীয় খরচ এবং ঝুঁকি বহন করতে হবে নিজেকেই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় গত আড়াই বছর ধরে রয়েছেল জেলে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
ইডির পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। জেলের ভিতর একাধিক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি একাধিকবার জামিনের আবেদনও করেছেন আদালতে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই জেলের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপরেই এসএসকেএমে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।