Kaliganj Crime News: তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় গ্রেফতারও আরও দুই। প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
Kaliganj Crime News: কালীগঞ্জের মোলান্দির তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পুলিশের। গ্রেফতার এই ঘটনার মূল চক্রী তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল সেখ ও তার আর এক ছেলে বিমল সেখ। গাওয়ালের নির্দেশেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন মৃতার মা। অভিযোগ পত্রে ১ নম্বরে ছিল তার নাম। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছেলে হাবিবুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাবা ও ভাইয়ের হদিশ পায় পুলিশ। এরপর গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হবে। এখনও পর্যন্ত এই এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছেলে হাবিবুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাবা ও ভাইয়ের হদিশ পায় পুলিশ। এরপর গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া চার জন অভিযুক্তকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ কৃষ্ণনগর আদালতে পাঠায় কালীগঞ্জ থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, নদিয়া জেলার কালীগঞ্জে নাবালিকা তামান্না খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায়, এবার তাঁর বাবা এবং মায়ের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। একইসঙ্গে শুক্রবারই, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়। তবে তার আগে ফের একবার পুলিশি তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তামান্নার মা এবং বাবা। তাদের প্রশ্ন, ‘‘অপরাধীরা তো এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’’
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল? সেই হামলার সময় কতজন চেনা মুখ ছিলেন? মূলত, এই দুটি প্রশ্নের উপরই জোর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু চেনা মুখ নয়, অপরিচিত কারা কারা এদিন ছিলেন, তাদের বর্ণনাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে পুলিশের তদন্তে যে তিনি আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তা কিন্তু ফের একবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন তামান্নার মা সাবিনা বিবি। তামান্নার পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার, বিকেলে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তখন বাড়িতেই ছিলেন তামান্নার মা এবং পরিবারের অন্যান্যরা। প্রায় ঘণ্টা খানেক সেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত নিজে। ভালো করে মন দিয়ে শোনেন মৃতার মায়ের সমস্ত অভিযোগ।
এমনকি, সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। যদিও সকালে সুকান্ত অভিযোগ করেছিলেন, তিনি যাচ্ছেন শুনে মৃতার পরিবারকে নাকি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। সুকান্ত মজুমদারের সামনে তামান্নার মা বলেন, ‘‘আমি আগে চাই যে, আমার মেয়ের খুনিদের শাস্তি হোক। তামান্নার জন্য দোয়া করতে যে কেউ আসতে পারেন আমাদের বাড়িতে।’’ তারপরই আবার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘‘পুলিশকে আমরা যথেষ্ট সাহায্য করছি। কিন্তু তারপরেও তাদের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


