Cooch Behar News: এক, দুই নয়…একসঙ্গে ২৮ জল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল দিনহাটা থানার পুলিশ। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

দিনহাটা: বড়সড় সাফল্য দিনহাটা থানার পুলিশের। দিনহাটা শহর থেকে ২৮ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিনহাটা শহরের স্টেশন চৌপতি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ধৃত এই সকল বাংলাদেশিরা।

ভারতের হরিয়ানা দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় ইটভাটায় কাজ করতো। সেখানে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই সেখান থেকে বিহারের গয়াতে চলে যায় তারা। পরবর্তীতে সেখানে ফের পুলিশি অভিযানের মুখে পড়তে হয় তাদের। এরপরেই কাঁটাতার হীন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশের উদ্দেশ্যে তারা দিনহাটায় জড়ো হয়। তখনই পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, আট জন মহিলা এবং নয় জন শিশু রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার তাদের দিনহাটা মহাকুমা আদালতে তোলা হয়।

অন্যদিকে, সীমান্ত এলাকায় লাগাতার পুলিশি অভিযান অব্যাহত। আবারও গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে নদীয়ার ধানতলা থানার পুলিশ ধানতলা থানা এলাকার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মানষহাটি এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন বাংলাদেশির নাম রিয়াজ শেখ,তামিম শেখ,ইমামুল মোল্লা। ধৃতরা বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ছয় বছর আগে ভারতীয় দালালের সহযোগিতায় ভারতের প্রবেশ করে এবং আহমেদাবাদ চলে যায় । এরপর তারা বৃহস্পতিবার ধানতলা থানা এলাকায় এসে ফের অবৈধভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে নদীয়ার ধানতলা থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে নদীয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি সহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নদীয়ার তাহেরপুর থানার হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে চন্দন বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে শুক্রবার রানাঘাট মহাকুমা আদালতে পাঠায় হাঁসখালি থানার পুলিশ।

এদিকে, এক অঙ্গনওয়ারী কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার চাপড়ার দৈয়ের বাজারে। ওই মহিলার নাম মনজুলা দাস, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। তার বাড়ি দৈয়েরবাজার উত্তর ঢাকাপড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়া বিবাহিত হলেও তিনি একাই থাকতেন। তার স্বামীর বাড়ি চাপড়ায়, তিনি মাঝেমধ্যে আসতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একাই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে তার সহকর্মীরা এসে তাকে ডাকাডাকি করলে কোন উত্তর না পাওয়ায় এলাকাবাসীকে জানায়।

এলাকাবাসী ঘর খুলে তাকে অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই অঙ্গনওয়ারী কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দাবি কোনো এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ওই প্রৌঢ়াকে উত্যক্ত করত। তা নিয়ে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হওয়ায় যৌন নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।