সংক্ষিপ্ত
জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুল শেষের পর গৃহশিক্ষকের কোটিং-এ গিয়েছিল ১৫ বছরের মেয়েটি। সেখান থেকে ফেরার সময় কয়েকজন ছেলে সাদা গাড়িতে তাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায়।
কোচিং থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে অপহরণ। এমনকী, শ্লীলতাহানির অভিযোগ এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে। যা ফের প্রশ্ন তুলল নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুল শেষের পর গৃহশিক্ষকের কোটিং-এ গিয়েছিল ১৫ বছরের মেয়েটি। সেখান থেকে ফেরার সময় কয়েকজন ছেলে সাদা গাড়িতে তাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েটিকে একটি এলাকায় নামিয়ে দেয় এবং হেঁটে যেতে বলে। ওই পথ দিয়ে কিশোরী হাঁটতে শুরু করলে হঠাৎ সে টের পায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তার পিছু নিয়েছে। অভিযোগ সেই ব্যক্তি কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে। যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ করে মেয়েটি। সে চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্তরা সেখান থেকে গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাত প্রায় ৮.২০ মিনিট নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে। একটি হিমঘরের বিপরীতে অচেতন অবস্থায় পড়েছিল কিশোরী। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সকলের নজর কেড়েছে।
সারা রাজ্য জুড়ে চলছে আরজি কান্ডের প্রতিবাদ। এরই মাঝে একের পর এক শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের খবর আসছে সামনে। অসমে গণধর্ষণের খবর এসেছিল প্রকাশ্যে। তেমনই একের পর এক যৌন হেনস্থার খবর এসেছে প্রকাশ্যে। এমন ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলল নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে।