কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় আরও বলছে, সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। কেন পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি, সিআইডিকে সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখতে হবে।
ডাকঘর প্রতারণা মামলায় ( Post office fraud case) বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট ()High Court। জামালপুর পোস্ট অফিসে রাখা টাকা উধাও হওয়ায় মামলায় সিআইডি(CID) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাত হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন এই ঘটনার তদন্ত করবে পূর্ব বর্ধমান পুলিশের বদলে অতিরিক্ত এডিজি বা অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনাল সিআইডি। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই তদন্ত শেষ করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলায় আরও বলছে, সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। কেন পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করেনি, সিআইডিকে সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখতে হবে। তদন্তে ঢিলেমি নিয়ে আগের তদন্তকারী অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করারও নির্দেশ দিয়েছে সিআইডিকে।
'বাড়ি' ফিরল দক্ষিণরায়, বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ার পর থেকেই স্বস্তিতে মৈপীঠ
ডাকঘর প্রতারণা মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ , টাকা লোপাটের ঘটনায় দেড় বছর ধরে জামালপুর থানা কোনও পদক্ষেপ নয়নি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে প্রতারিত হলে মানুষ যাবে কোথায়? কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানে মানুষের গচ্ছিত টাকা থাকবে না?' প্রসঙ্গত জামালপুর ডাকঘরে স্থানীয় আমানত হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন সুরজিৎ পাল নামের এক ব্যক্তি। সেই টাকা না পাওয়ায় তিনি তঁর অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার পর্যন্ত করতে পারছেন না। সেই করণেই তিনি হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
'তৃণমূল পার্থকে সরিয়ে দিতে চাইছে'! প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বিজেপি সাংসদের
গত ৩১ জনুয়ারি এই মামলার শুনানিতে মামলকারী সুরজিৎ পাল অভিযোগ করেছিলেন ডাকঘর থেকে টাক ফেরত না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেই দিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ঘটনায় তদন্ত কী ভাবে হয়েছে, কী পদক্ষেপ করছে পুলিশ, এক সপ্তাহের মধ্যেই তা জানাতে হবে। পাশাপাশি মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার শউননিতে পুলিশের জবাবে অসন্তুষ্ট বিচারপতি তদন্তের ভার সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২১ সাালে ১২ ক্ষ টাকা পোস্ট অফিসে জমা করেছিলেন মামলাকারী সুরজিতের বাবা রণজিৎ পাল। ২০২২ সালে সেই টাকা তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু পোস্ট অফিস সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে শেষপর্যন্ত আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
