সংক্ষিপ্ত

প্রাথমিক পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওযা হবে। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা। দ্বিতীয় পরীক্ষা হবে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে।

 

প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় বদল আসছে। এবার থেকে আর একবার নয়, একই ক্লাসে দুইবার পরীক্ষা হবে। ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ছোট অবস্থা থেকেই তৈরির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন। ২০২৫ সাল থেকেই চালু হচ্ছে এই নতুন পদ্ধতি।

প্রাথমিক পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওযা হবে। জুন মাসে হবে প্রথম পরীক্ষা। দ্বিতীয় পরীক্ষা হবে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে। প্রতি ক্লাসেই দুইবার হবে পরীক্ষা। পাঠ্যক্রমেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একটি শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হল জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগ হল জুলাই থেকে ডিসেম্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন গৌতম পাল।

গৌতম পাল জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপর ভিত্তি করে এনসিআইআরটি একটি কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এরটি পেপারেই গোটা পশ্চিমবঙ্গের পরীক্ষা হবে। পর্ষদের ঠিক করে দেওয়া প্রশ্নপত্রেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। মার্কশিটে নম্বরের সঙ্গে থাকবে ক্রেডিট পয়েন্ট। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যখন পরীক্ষা হবে, তখন সেই ক্রেডিট পয়েন্ট গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলেও জানিয়েছেন পর্ষদ।

গৌতম পাল জানিয়েছেন ২০০৯শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নো ডিটেনশন পলিসি আছে। প্রাক প্রাথমিকে ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কে আনা হবে না। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ৮০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে গোটা শিক্ষাবর্ষে ১০০০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সিঙ্গল সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা করে ও তৃতীয় থেকে পঞ্চম সিঙ্গল সেমিস্টারে ৪৬০ ঘণ্টা কাটাতে হবে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৬০ ঘণ্টার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।