সংক্ষিপ্ত

২০২৩ সালের জুন মাসে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে গিয়েছিল সিবিআই। গুদাম ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা।

 

অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকার ওপর বিভিন্ন লিখিত নির্দেশ দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানেই এই দাবি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের লেখারও উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীগের নামের তালিকা উদ্ধার করেছিল তারা। সেখানেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের লেখা ছিল। যদিও সেই লেখা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের লেখায় দেওয়া নির্দেশের নকল অবস্থা।

২০২৩ সালের জুন মাসে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে গিয়েছিল সিবিআই। গুদাম ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা। ১৯ পাতার চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে ওই তালিকায় ৩২৪ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর নাম ছিল। পরে তালিকা খতিয়ে দেখে সিবিআই জানতে পারে সেখানে প্রার্থী সংখ্যা ৩২১। সেই তালিকাতে প্রত্যেকের নাম প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী কোনও না কোনও ব্যক্তি সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় প্রার্থীদের নাম এবং রোল নম্বরের পাশাপাশি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাতেই লেখা থাকত 'একে নিতেই হবে', 'এটা খুব দরকারি'। পাশে নোট আকারে দেওযা থাকত এজাতীয় মন্তব্য। সিবিআই-এর দাবি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় নিজের হাতে এজাতীয় মন্তব্য লিখে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ৩২১ জন প্রার্থীর সুপারিশ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এসেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। পার্থর সুপারিশ নিয়ে নামের তালিকার হার্ড কপি সিডি গিয়েছিল বিকাশ ভবনে। পার্থর ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়েপ হাতে এই তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল।

সিবিআই সূত্রের খবরস পার্থ চট্টোপাধ্যায় একেকজন প্রার্থীর নামের আগে একেক রকম মন্তব্য লিখতেন। 'একে নিতেই হবে', 'এটা খুব দরকারি', 'প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে নিতে হবে', 'ভিভিআইপি'- এমনটা লেখা থাকত। এছাড়াও অনেক সময়ে প্রার্থীর নামের পাশে জেলার নামও লেখা থাকত। সব লেখাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতের লেখায় দেওয়া হয়েছ। সিডির সঙ্গে সেই অনুলিখন পাঠিয়ে দেওয়া হত নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক। সুপারিশের ওই ৩২১ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ১৩৪ জন ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে চার্জশিটে জানিয়েছে সিবিআই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।