সংক্ষিপ্ত

ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং জাল টাকা সহ আরও বহু জিনিস। জেলা পুলিশের নজরদারিতেই এই অভূতপূর্ব সাফল্য বলে মনে করছেন উচ্চ পদস্থ কর্তারা। 

নিজেদের পুলিশ কর্মী বা দরদী মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে অভিনব উপায়ে টাকা হাতাতো দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকবার একই ধরনের অভিযোগ আসতে থাকায় জোরদার তদন্ত শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পুরুলিয়া জেলার কর্মীরা। এই তদন্তের জেরেই এবার জালে পড়ল ২ দুষ্কৃতী।

ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোন এবং জাল টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতদের নাম আলি রেজা এবং তানভির হোসেন। দুজনেরই বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। এরা পুরুলিয়া শহরের একটি হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে বাস করছিল।

এই ধৃতদের হাতসাফাইয়ের কৌশল ছিল বেশ অভিনব। সহজেই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পটু ছিল এই দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত প্রথমেই কোনও গহনা পরিহিতা মহিলাকে টার্গেট করত এই ধৃতরা। তাঁর সামনে গিয়ে বলত, ‘মাসিমা, এত দামী দামী গয়না পরে রাস্তায় বের হয়েছেন কেন? আপনি বিপদে পড়ে যেতে পারেন!’ তাদের দরদী এবং ‘সুপরামর্শ’ দেওয়া কথা শুনে সহজেই আবিষ্ট হয়ে যেতেন ওই ‘টার্গেট’। তখন তিনি নিজের গায়ে পরে থাকা গয়না খুলে ব্যাগে ভরে ফেলতে চাইতেন। সেই সময়েই আসল কাজ সেরে ফেলত এরা।

গয়না ব্যাগে ভরার জন্য সাহায্য করতে গিয়ে মালিকের অলক্ষ্যেই আসল গহনা বদল করে সেই জায়গায় নকল গয়না ব্যাগে ভরে দিত অপরাধীরা। ঠিক তখনই আসল গয়নাগুলি ঢুকে যেত তাদের পকেটে।

ঘটনার খবর চাউর হতেই পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের কানে। লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না আসামীদের। অবশেষে, এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল সম্পূর্ণ একটা চক্র। পুরুলিয়া পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মূল মাথা সহ অন্যান্য সদস্যরা মহারাষ্ট্র আর মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে একদল চলে আসে বাইক চালিয়ে লক্ষ্যস্থলে, অন্যদল আসে ট্রেনে চড়ে। তারপর টার্গেটকে সামনে রেখে ছলচাতুরী করে হাতিয়ে নিত মূল্যবান অলঙ্কার এবং টাকাকড়ি।

অবশেষে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের জালে ধরা পড়লো দুই দুষ্কৃতী, আর তাদের সূত্র ধরে জামশেদপুর থেকে ধরা পড়েছে এদের আরও তিনজন সঙ্গী। ধৃতদের তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং জাল টাকা সহ আরও বহু জিনিস। সেগুলিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের নজরদারিতেই এই অভূতপূর্ব সাফল্য বলে মনে করছেন উচ্চ পদস্থ কর্তারা।




আরও পড়ুন-
১০ এবং ১১ তারিখ দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা বদল, লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগের আশঙ্কায় টেট পরীক্ষার্থীরা
দক্ষিণ ভারতের সমুদ্র উপকূলে বৃষ্টিপাতের প্রভাব, শুক্রবার কলকাতার তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী
জনসমক্ষে কেড়ে নেওয়া হবে মানুষের প্রাণ, আফগানিস্তানে ফের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তালিবান