North Bengal Crime news: সোনা ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে নাম জড়াল বিডিও-র। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই চাঞল্য এলাকায়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
North Bengal Crime news: দিন আটেক আগে নিউটাউনের যাত্রাগাছিতে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে এবার নাম জড়াল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও-র। স্বপন কামিল্যা নামে মৃত ওই ব্যবসায়ীর পরিবার রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজগঞ্জের বিডিও। গত ২৮ অক্টোবর যাত্রাগাছির খালধার থেকে স্বপন কামিল্যার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানার দিলমাটিয়া গ্রামে।
ঠিক কী অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের পরিবার?
সল্টলেকের দত্তাবাদে তাঁর একটি সোনার দোকান রয়েছে। গত অগাস্টে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের বাড়ি থেকে কিছু সোনার গয়না চুরি যায়। পরবর্তীতে বাড়ির কেয়ারটেকার জানান, চুরি যাওয়া সোনা স্বপন কামিল্যার কাছে বিক্রি করেছেন। সেই মতো রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ পশ্চিম মেদিনীপুরে স্বপন কামিল্যার বাড়ি যান। স্বপন বাড়িতে সেইসময় ছিলেন না। অভিযোগ, তাঁকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন বিডিও। এমনই একটি ভিডিয়ো মোহনপুর থানার হাতে তুলে দিয়েছে স্বপনের পরিবার। পরে স্বপন কামিল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও।
সেইসময় সোনার গয়না ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেইমতো গত ২৭ অক্টোবর দত্তাবাদে স্বপন কামিল্যার সোনার দোকানে এসে উপস্থিত হন প্রশান্ত বর্মণ। তাঁর সঙ্গে আরও জনা পাঁচেক লোক ছিলেন। অভিযোগ, স্বপন ও তাঁর বাড়ির মালিককে গাড়িতে তোলা হয়েছিল। এবং নিউটাউনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। কিছুদূর যাওয়ার পরই বাড়িওয়ালাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। স্বপনকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা বলতে পারেননি বাড়িওয়ালা।এর পরদিন যাত্রাগাছিতে খালধারে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় স্বপনের। মৃতদেহ পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে।
দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। গত ৩১ অক্টোবর বিধাননগর দক্ষিণ থানায় স্বপনের শ্যালক দেবাশিস কামিল্যা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাট ধারায় মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দক্ষিণ বিধাননগর থানার পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
