BSF Police Clash News: বিএসএফ-এর সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ালো নদীয়ায়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
BSF Police Clash News: কাশির সিরাপ নিয়ে পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়ায় নদীয়া জেলার চাপড়া থানা এলাকার সীমানগরে। ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিকসহ দুইজন জখম হন। আহতদের চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এক বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে চাপড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তারা প্রথম এই পাচারের ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন। সেইমতো পুলিশের তরফে পাচার আটকানো হয়েছিল। পাচার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার সময় বিএসএফ বাধা দেয়। এই নিয়ে মামলা করা হয়েছে। দুজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। একজন বিএসএফ জাওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, করিমপুর দিক থেকে একটি গাড়িতে করে কাশির সিরাপ পাচার হচ্ছিল চাপড়ার দিকে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সীমানগর এলাকায় ঘাঁটি গাড়ে চাপড়া থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর গাড়ি থেকে কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করতে থাকে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে?
অভিযোগ, ঠিক সেই সময় সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্প থেকে কয়েকজন জওয়ান এসে পুলিশকে বাধা দেয় এবং বাজেয়াপ্ত করা সিরাপ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, এক পর্যায়ে রড দিয়ে এক পুলিশ আধিকারিককে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিএসএফ—উভয় বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এদিকে চাপড়া সীমা নগরে ফেনসিডিল পাচার চক্র রোধে পুলিশ ও বিএসএফের হাতাহাতি। ভুল বোঝাবুঝির ফলেই বিএসএফ পুলিশ দ্বন্দ্ব, এমনই দাবি করেন ডিএসপি শিল্পী পাল। তার দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে খবর আসে চাপড়ার সীমানগর বিএসএফ ক্যাম্পের কাছ কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়কের পাশে কিছু বাক্স পড়ে আছে। পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল কাশির সিরাপ পাচারের চেষ্টা করছে চোরাচালানকারীরা। সেই মতো খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। সেখানে সাদা পোশাকে এক বিএসএফ জওয়ান দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পুলিশের সন্দেহ হয় তিনি পাচারকারী। পুলিশ ওই বিএসএফ জওয়ানকে পাচারকারী সন্দেহে আটক করে ও বাক্স গুলো বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে। সেই সময় আরও বিএসএফ জওয়ান সেখানে উপস্থিত হয়। তারা দাবি করে যাকে আটক করা হয়েছে তিনি বিএসএফ কর্মী এবং পাচার রুখতে তিনি সাদা পোশাকে নজরদারি করছিলেন। এই নিয়ে দুপক্ষের বাদানুবাদ ও ধস্তাধস্তি হয়।
এই ঘটনায় এক জন এ এস আই, একজন কনস্টেবল, দুজন হোম গার্ড ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাদের উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিএসপি। তারা বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এরপরই আটক বিএসএফ জওয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় ১৭০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফ ও পুলিশ যৌথ ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
