সংক্ষিপ্ত

বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান চলছে। সেখানে লক্ষ্যপুরণের টার্গেট দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতাদের। তাতেই শমীক ভট্টাচার্যের অভিনব কাণ্ড।

 

টার্গেট বড় বালাই। আর সেই জন্য এই কাজটি করতেও পিছপা হলেন না বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্যের প্রধান মুখরাত্র শমীক ভট্টাচার্য। করণ লক্ষ্যপুরণের জন্য চাপ বাড়াচ্ছে দিল্লি বিজেপি। রাজ্যে টার্গেট পুরাণ থেকে অনেকটা দূরে রয়েছে বিজেপি। আর সেই কারণেই অমিত শাহ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেই সূত্রের খবর।

টার্গেট কী?

২০২১ সালে এই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়ে সরকার গঠন করার তোড়জোড় শুরু করেছিল। কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতাদের তেমনই ঘোষণা ছিল। কিন্তু ভোটবাক্সে পুরো উল্টোছবি। বিপুল বিক্রমে ক্ষমতায় ফিরে আসে তৃণমূল। তবে বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়। তাই এবার অমিত শাহদের লক্ষ্য ২০২৬ সালে বাংলা জয়। আর সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানও শুরু হয়েছে বিজেপির চাণক্য হিসেবে পরিচিত অমিত শাহের হাত ধরে। অমিত শাহই মার্কেটিং স্টাইলে বিজেপি নেতাদের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। এক মাসে এক কোটি সদস্য সংগ্রহ করার টার্গেট রয়েছে বিজেপি নেতাদের সামনে। আর সেই লক্ষ্য পুরণেই অভিনব পন্থা নিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

কী করলেন শমীক?

কামারহাটি- তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা এলাকা- সেখানে গিয়েইছ নববধূকে গেরুয়া শিবিরের সদস্যপদ ধরিয়ে দিলেন। কারণ সদস্য সংগ্রহ অভিযানের গুরুদায়িত্বে রয়েছে শমীক ভট্টাচার্য। আর সেই কাজটি করেই রীতিমত নজর কাড়লেন শমীক। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতীতে বিজেপির সদস্য ছিল না এমন ব্যক্তিদেরই সংগঠনে নিয়ে আসতে হবে। কলেজ পড়ুয়া থেকে মহিলা- এদের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। কারণ ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কোনও অজুহাত শুনতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।