সংক্ষিপ্ত

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন রুজিরা। এদিন রুজিরার হাজিরাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা চত্বরকে।

অবশেষে ইডির অফিসে হাজিরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন রুজিরা। এদিন রুজিরার হাজিরাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা চত্বরকে। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে র‍্যাফ। এছাড়া রয়েছেন, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের একাধিক পদস্থ আধিকারিক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর,তদন্তে উঠে আসা নথি ও তথ্যের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে রুজিরাকে। উল্লেখ্য এর আগেও লিপস অ্যান্ড বাউন্স মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিলেন ইডি। যদিও ইডির ডাক সত্ত্বেও কেউই হাজিরা দেননি৷ এবার এই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক স্ত্রী রুজিরার বয়ান প্রয়োজনীয় বলেও উল্লেখ করেছে ইডি।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যেতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ৩ অক্টোবর অনুসন্ধান এবং তদন্ত যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অধিকর্তাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর অভিষেকের হাজিরা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই নাম না করে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এক্ষেত্রে অবশ্য নির্দিষ্ট কোনো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই বিচারপতি সোমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। ঠিক তার পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে মামলা চলছে।