সংক্ষিপ্ত

আরজিকর কাণ্ডে সামনে এল ভয়াবহ তথ্য! "খুন যেখানেই হোক, ক্রাইম সিন বদল করা হয়েছে" আদালতে দাবি CBI-এয়ের

আরজিকর কাণ্ডে ক্রাইম সিন বদল করা হয়েছে! আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। সিবিয়াই আদালতকে জানিয়েছেন, "খুন যেখানেই হোক না কেন, ক্রাইম সিন সম্পূর্ণ বদল করা হয়েছে।"

গত ৯ অগাস্ট আরজিকর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হলে হঠাৎই উদ্ধার হয়, তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। প্রথমে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পরে খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়।

সঞ্জয় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করলেও এই ঘটনার সঙ্গে আরও অপরাধিরা যুক্ত আছে বলেই অনুমান পুলিশের। পরে আদালতের নির্দেশে ঘটবার তদন্ত করছে সিবিআই।

আজ সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই জানায় যে খুন ও ধর্ষণ যেখানেই হয়ে থাক, ক্রাইম-সিন বদল করা হয়েছে। এর আগে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছিল। পুলিশের তদন্ত বহু ফাঁক রয়েছে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে রাজ্য জানায়, "কিছুই বদল করা হয়নি সব কিছুরই ভিডিওগ্রাফি রয়েছে।"

কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়ো করে চিকিৎসককে দাহ করা হল কেন? কিছুতেই তাঁরা নিশ্চিত হতে পারছেন না যে সেমিনার হলেই সেই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিল কি না।

প্রসঙ্গত, আরজি করের চেস্ট বিভাগে রয়েছে ৬০টি শয্যা। এ ছাড়াও রয়েছে সেমিনার হল-সহ আরও দুটি ঘর। তা ছাড়া, সেমিনার হল-সহ আরও দুটি ঘর। এই দুটি ঘরই মূলত ফাঁকা থাকে। সেখানও খুন করা হতে পারে চিকিৎসককে। সত্য জানতে বারার থ্রিডি স্ক্যানারের মাধ্যমে ম্যাপিং ও ভিডিও করা হচ্ছে আরজিকরের চার তলায়।

এই আবহে আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা জানতে চেয়ে সিবিআই-কে আজ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, আজ শীর্ষ আদালতে অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিলেন তদন্তকারীরা।

এদিকে গত ৬ দিনে ধরে টানা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীর ঘোষকে জেরা করে চলেছে সিবিআই। গতকাল সন্দীপ ঘোষের গাড়িতেও তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অপরদিকে আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে থ্রিডি স্ক্যানার দিয়েও তল্লাশি চালিয়েছে তারা। গতকাল আবার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবেও গিয়েছিলেন তাঁরা। অপরদিকে ধৃত সঞ্জয় রায়কেও জেরা চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। তার থেকে সেই খুনের রাতের বেশ কিছু তথ্য তারা জানতে পেরেছে। তবে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে সঞ্জয়ের বয়ানে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই আবহে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। যদিও সেই টেস্ট পিছিয়ে গিয়েছে। এছাড়া আরজি করের মোট ২০ জন কর্মীকে এখনও পর্যন্ত সিবিআই জেরা করেছে। সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তকেও জেরা করেছে সিবিআই।

এদিকে এর আগে আনন্দবাজার পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, সিবিআই সূত্র মারফত নাকি জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তাঁদের হাতে যাওয়া তথ্য-প্রমাণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। সুরতহাল, তরুণীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে। এই আবহে।