- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- গর্ভাবতী হয়ে পড়ায় বিয়ের জন্য চাপ, তাতেই প্রেমিকের হাতে খুন RG KAR-এর জুনিয়র ডাক্তার
গর্ভাবতী হয়ে পড়ায় বিয়ের জন্য চাপ, তাতেই প্রেমিকের হাতে খুন RG KAR-এর জুনিয়র ডাক্তার
RG Kar junior doctor death case: আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশই খুনের তত্ত্বই জোরাল হচ্ছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগে অনিন্দিতা সোরেনের প্রেমিক উজ্জ্বল সোরেনকে গ্রেফতার করেছে।

আরজি করের তরুণীকে খুন!
আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশই খুনের তত্ত্বই জোরাল হচ্ছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগে অনিন্দিতা সোরেনের প্রেমিক উজ্জ্বল সোরেনকে গ্রেফতার করেছে। পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করাতেই খুন করেছে প্রেমিক।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ অনিন্দিতা সোরেন গর্ভাবতী হয়ে পড়েছিল। কিন্তু রেজিস্ট্রি করে আইনত বিয়ে করতে রাজি ছিল না উজ্জ্বল সোরেন। তবে হিন্দু মতে পুরীর মন্দিরে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছিল অনিন্দিতাকে। আর তারপরই দুজনের অবাধ মেলামেশায় গর্ভাবতী হয়ে পড়েন অনিন্দিতা।
বিয়ের চাপ
মেয়ে গর্ভাবতী হয়ে পড়ায় অনিন্দিতা ও তাঁর পরিবার বিয়ের জন্য ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছিল উজ্জ্বলের ওপর। কিন্তু রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করতে সেই সময়ও অস্বীকার করেছিল উজ্জ্বল সোরেন। তেমনই অভিযোগ পরিবারের। তারপরই উজ্জ্বল সোরেন অনিন্দিতাকে মালদায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই উজ্জ্বলের বাড়ি। পরিবারের অভিযোগ উজ্জ্বল বিষাক্ত কিছু খাইয়েই অনিন্দিতাকে হত্যা করেছিল।
জোর করে গর্ভপাত
নিহতের পরিবারের আরও অভিযোগ রয়েছে, জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে অনিন্দিতার। তারপরই হত্যা করা হয়। অনিন্দিতার মা আরও বলেছেন, তাঁর মেয়েকে যখন তখন কলকাতা থেকে ডেকে পাঠাত উজ্জ্বল। তেমনই গত সোমবার ডেকে পাঠিয়েছিল সোমবার। তারা দুজনে মালদার একটি হোটেলে ছিল।
মায়ের দাবি
অনিন্দিতার মায়ের দাবি তিনি সেই সময় উজ্জ্বলকে ফোন করেছিলেন। তিনি মেয়েকে দ্রুত বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, সেইসময় উজ্জ্বল বলেছিল তাদের দুজনের একটি জরুরি কাজ রয়েছে। কী কাজ তা অবশ্য জানায়নি। কিন্তু তারপরই অনিন্দিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় অনিন্দিতার। নিহতের মায়ের প্রশ্ন এই ঘটনার পরে কেন উজ্জ্বল পালিয়ে গিয়েছিল?
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পরই চম্পট দিয়েছিল উজ্জ্বল। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের খবর তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে , মালদার হোটেলে অনিন্দিতার সঙ্গে ছিল উজ্জ্বল। রেজিস্ট্রি বিয়ে নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই সমস্যার কারণেই অনিন্দিতা পেনকিলার জাতীয় একগাদা ওষুধ একসঙ্গে খেয়ে আত্মহত্য়া করেছে।

