তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ‘স্যালারি অ্যাকাউন্ট’ আছে বৈদ্যবাটির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে । তাঁর দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। টাকা তুলেতে গিয়ে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকেও গায়েব কয়েক লক্ষ টাকা।

এক অদ্ভুত ঘটনায় একেবারে মাথায় হাত চিকিৎসকের। তিনি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা না তুললেও উধাও হচ্ছে গচ্ছিত অর্থ। বিষয়টি চলছিল বেশকিছু দিন ধরেই। প্রথমে হাজার হাজার গেলেও পরবর্তীতে গায়েব হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেছে তাতে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের ভর্তি ফি , ফ্ল্যাটের কিস্তি দেওয়ার টাকা পর্যন্ত তার কাছে নেই। আর এই ঘটনার কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন হুগলির শ্রীরামপুরের চাঁপসরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা গোস্বামী। এই চিকিৎসক থাকেন বৈদ্যবাটিতে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ‘স্যালারি অ্যাকাউন্ট’ আছে বৈদ্যবাটির একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে । তাঁর দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। টাকা তুলেতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই। চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা গোস্বামীর অভিযোগ, তার অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও গায়েব হয়ে গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। এদিকে তাঁর মেয়ে সবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়েকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করার জন্য তিনি অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন প্রায় তিন লক্ষ টাকা। সেই রেখে দেওয়া টাকাও গায়েব হয়ে যায়। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে কোনও টাকাই না থাকায় তিনি চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাসে ১০ হাজার টাকা ইএমআই টানতে হয় বৈদ্যবাটির ফ্ল্যাটের জন্য। এলআইসি ও মেডিক্লেমের জন্যও মাসে মাসে টাকা কাটে সঙ্গে সংসারের খরচ তো রয়েছেই। এখন সেই টাকা কীভাবে ম্যানেজ করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেনা না শর্মিষ্ঠা। চিকিৎসক দাবি করছেন, এর আগে যখন টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল অ্যাকাউন্ট থেকে তখন তাঁকে অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই পরামর্শ মেনে খোলা হয়েছিল এই নতুন অ্যাকাউন্ট ।

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছ থেকে সবটা শুনে তিনি ব্যাঙ্কের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চাঁপসরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের দাবি, কোন ইউপিআই ট্রানজাকশন না করলেও তার অ্যাকউন্ট থেকে টাকা গায়েব হচ্ছে। ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার পাশাপাশি ওই চিকিৎসক এনসিআরপি ও চন্দননগর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।