সংক্ষিপ্ত

পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'কোনও মহিলা লাঞ্ছনার বিষয়টি তোলেননি... এটি যে জাল তা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'

 

ঘটনারর পর কেটে গেছে ৫০ দিন। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরার নেতা শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফেরার তৃণমূল নেতা। এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রীকেও সন্দেশখালি সফরের সময় সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল। কারণ পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসুদে দেখে সেই প্রশ্নই করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'আমাদের দল কাউকে রেয়াত করে না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। আমাদের কাছে ইতিমধ্যেই আড়াইশো অভিযোগ জমা পড়েছে। দেড়শোর কাছাকাছি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। ১০০টি অভিযোগের সমাধান আমরা করেছি। জমিও ফেতর দিয়েছে।' অন্যদিকে বিধায়ক সুকুমার বলেন, দলের প্রতি মানুষের কোনও ক্ষোভ নেই। কিছু নেতার ওপর ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, উত্তম , শিবুর কাছে গ্রামবাসীরা যে টাকা পায় তাও তৃণমূল নেতারা চাঁদা তুলে ফেরত দেবে।

অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর হওয়া নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'কোনও মহিলা লাঞ্ছনার বিষয়টি তোলেননি... এটি যে জাল তা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' তিনি আরও বসেছেন, অবৈধভাবে যাদের জমি দখল করা হয়েছে তা দ্রুত ফেরত দেওয়া হবে।

রাজ্যের প্রতিনিধি দল এদিন প্রথম ধামাখালিতে যান। সেখান থেকে টোটো নিয়ে পাত্রপাড়া গয়ে কাছারিপাড়ায় যান। একাধিক জায়গায় তাঁরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার রাস্তা দ্রুত সারিয়ে দেওয়া হবে, পানীয় জলের সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে - এমন প্রতিশ্রুতিও দেন তাঁরা। পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনকে আগেই তৃণমূলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কত আগে তাঁকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তিনি জানাননি। এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ছিল। যদিও দুই মন্ত্রীর একজনও ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ খোলেননি। পরিস্থিতি ঠিক আছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে সফর করলেও বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বাধা দেয় পুলিশ। তেমনই দাবি বাম নেত্রীর। পুলিশের বাধার তীব্র প্রতিবাদ জানান মিনাক্ষী। তিনি অবস্থান বিক্ষোভও করেন। মিনাক্ষী বলেন, তাঁকে কী কারণে আটকানো হয়েছে তা বলতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী।