সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে খালি হাতে ফিরতে হল সুপ্রিম কোর্ট থেকে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ।
রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আদালতের পূর্বানুমতি ছাড়া বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের করার নিষিদ্ধ- এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বীরবাহা হাঁসদা।
প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে নির্দেশ দেয়েছ। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে এজাতীয় মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের অধীনে রয়েছে, যার শুনানি ১০ জানুয়ারি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'আমরা আবেদনকারীকে এই হাইকোর্টের যাওয়ার ও সেখানে বিষয়টি অনুসরণ করার স্বাধীনতা দিয়েছি। এই আদালতের পক্ষে তার এখতিয়ার প্রয়োগ করা উপযুক্ত নয়।'
বীরবাহা হাঁসদার হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের না করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে রাজ্য সরকার একটি পৃথক আপিল দায়ের করেছে। তাই তাদের অনুরোধ সেই বিষয়ের সঙ্গে বীরবাহা হাঁসদার আবেদন গ্রহণ করা হোক। শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আদালতে সওয়াল করেন পিএস পাটওয়ালিয়া। তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রতিদিন অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। শুভেন্দুর আইনজীবী আরও বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে পদদলিত হওযার ঘটনা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিজেপি নেতার বিরোধী পক্ষ এফআইআর দায়ের করতে চেয়েছিল। গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট করাজ্য সরকারকে কলকাতা হাইকোর্ট যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলা ১০ জানুয়ারি শুনানি হবে। হাইকোর্টে মমলাটি গ্রহণ করেছে। সেই কারণে সুপ্রিম কোর্ট তা নেয়নি।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর, শীর্ষ আদালত পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে পদদলিত হওয়ার ঘটনায় অধিকারী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল। রাজ্য সরকার বলেছিল যে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করা হয়েছিল কারণ হাইকোর্টের বিচারক অনুপলব্ধ এবং বিচারিক কাজের জন্য পোর্ট ব্লেয়ারে দূরে ছিলেন। সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্ট অধিকারীর দাখিল নোট নিয়েছে এবং রাজ্য পুলিশের দায়ের করা প্রায় ১৭টি এফআইআর স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ
পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্য পেতে মমতার হাতিয়ার 'দিদির সুরক্ষা কবচ', জানুন কীভাবে প্রচার করবে তৃণমূল
বছরের দ্বিতীয় দিন থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের,সঙ্গে জানুন আরও ৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
'বেশি দুর্নীতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে', তৃণমূল ভবনের ভূমি পুজোয় শুভেন্দুকে নিশানা অভিষেকের