সংক্ষিপ্ত

বিধানসভা ভোটের সাফলে এনে দিয়েছিল দিদিকে বল-র প্রকল্প। সেই সাফল্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন হাতিয়ার হতে চলেছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

 

বিধানসভা ভোটের আগে 'দিদিকে বল'র পরে এবার রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন প্রজেক্ট 'দিদির সুরক্ষা কবচ'। সোমবার নজরুলমঞ্চের তৃণমূলের কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্প ঘোষণা করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন আপাতত তাঁর ধ্যানজ্ঞান পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করা। যদিও রাজ্যের অধিকাংশ পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রস্তুতি নিয়ে যে কোনও গাফিলতি চান না তা স্পষ্ট করে দেন এদিন।

'দিদির সুরক্ষা কবচ' কী?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের চালু করার মূল অর্থই হল দলীয় কর্মসূচিতে জোর দেওয়া। 'দিদির সুরক্ষা কবচ' মূলত একটি প্রচার কর্মসূচি। এটি দুইভাবে বিভক্ত। দুটি ভাগ হল - অঞ্চলে একদিন বা নগরে একদিন ও দুয়ারে দিদির দূত। এটি মূলত জনপ্রতিনিধিদেরই পালন করতে হবে।

অঞ্চলে একদিন বা নগরে একদিন - এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর -রাজ্যের সর্বত্র পৌঁছে যাবে তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ও নেত্রীরা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় তারা একাধিক কর্মসূচি পালন করবে। জনসংযোগ বাড়বেন, কথা বলবেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজন করবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করবেন জনপ্রতিনিধিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠান জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গেও এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন। এই জনপ্রতিনিধিরাই দলীয় কর্মীদের মধ্যে 'দুয়ারে দিদির দূত' কর্মসূচি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই কর্মসূচি কীকরে রূপায়িত করতে হবে তারও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন তারা। দিনের শেষে জনপ্রতিনিধিরা দলীয় কর্মীর বাড়িতেই নৈশভোজ ও রাত্রি যাপন করবেন।

দুয়ারে দিদির দূত- এই কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের কর্মীরা এলাকার বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেবেন দিদি অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি চিঠি। সুরক্ষা কবচের অধীনে ১৫টি প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। স্থানীয়দের অভাব অভিযোগও নথিভুক্ত করবেন। দিদির দূত অ্যাপটির মাধ্যমে রাজ্যের প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরবেন। উপহার হিসেবে একটি ক্যালেন্ডের দেবেন। বাড়ির দরজায় লাগিয়ে দেবেন দিদির সুরক্ষা কবচের স্টিকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করার পরেই জানিয়ে দিয়েছেন সাড়ে তিন লক্ষ দলীয় কর্মী রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। ১১ জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

নোটবন্দি 'বেআইনি', সুপ্রিম কোর্টের ভিন্ন রায় দেওয়া বিভি নাগারত্না দেশের আগামী মহিলা বিচারপতি

নোট বাতিল নিয়ে 'সুপ্রিম' রায় ঐতিহাসিক, রাহুল গান্ধী কি এবার ক্ষমা চাইবেন? প্রশ্ন বিজেপির

'বেশি দুর্নীতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে', তৃণমূল ভবনের ভূমি পুজোয় শুভেন্দুকে নিশানা অভিষেকের