SSC মামলায় বড় আপডেট, ৪-৮ অগস্ট টানা চারদিন শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
SSC case: নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হওয়া ২৬ হাজার চাকরি সংক্রান্ত সব মামলা একই সঙ্গে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত।

SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় আপডেট। চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলা-সহ এখনও পর্যন্ত যে সব মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই সব মামলার শুনানির দিন ধার্যা করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হওয়া ২৬ হাজার চাকরি সংক্রান্ত সব মামলা একই সঙ্গে শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির দিন ধার্য করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ৪ থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত এই মামলাগুলির শুনানি হবে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কোর্টে উপস্থিত থাকার কথাও বলেছেন।
রাজ্যের আর্জি
সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পিটিশনে রয়েছে রাজ্যের কয়েকটি আর্জি। সেগুলিরও এই সময়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, এসএসসি-র ২৬০০০ চাকরি বাতিলের রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জিও। সেটিরও শুনানি হবে। তবে পুনর্বিবেচনার রিভিউ পিটিশনের শুনানি হবে বিচারপতিদের চেম্বারে।
প্যানেলই বাতিল
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেন। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছিল রাজ্যকে। সেই কারণে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর। যদিও ডিসেম্বর পর্যন্ত চিহ্নিত অযোগ্য নন এমন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের কাজ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছি কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছিল রাজ্য।
সুপ্রিম কোর্টের রায়
যদিও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ২০১৬ সালে যারা অন্য চাকরি ছেড়ে এই চাকরি নিয়েছিল তারা প্রয়োজনে পুরনো চাকরিতে ফিরত যেতে পারে। সেই অনুযায়ী অনেকেই তাদের পুরনো চাকরিতে ফিরত গেছে। কিন্তু অনেকে এখনও প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারারা।
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ
নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীরা জেলে রয়েছেন এই দুর্নীতির অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চাকরিহারাদের দাবি অযোগ্যদের বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি বহাল রাখতে হবে।