West Bengal News: একটানা অতিভারী বৃষ্টিতে দুর্ভোগ চরমে। ক্লাসে জল ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ পড়াশোনা। কোথায় হয়েছে এই অবস্থা? বিশদে জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন…
West Bengal News: শিঁকেই উঠেছে উঠেছে পড়াশোনা। গত কয়েক দিনের অতিভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন সারা বিদ্যালয় চত্বর। যারফলে কাঁকসার মোল্লাপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন বন্ধ। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভয়ে জল কাঁদা পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসছে না। জানা গিয়েছে, তাই শুক্রবার থেকে একপ্রকার পঠন পাঠন বন্ধ বিদ্যালয়ের। শুক্রবার রাতের বেশ কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুধু বিদ্যালয়ে নয় জল ঢুকেছে গৃহস্থের বাড়িতে।
বর্ষার জমা জলে ভাসছে গৃহস্থের জিনিসপত্র । স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ। পঞ্চায়েতের গাফিলতিতে বেহাল নিকাশী ব্যবস্থা। এলাকার ড্রেনগুলি ঠিকমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না। যারফলে স্থানীয় বাসিন্দারা অথৈ জলে ভাসছে। পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
অন্যদিকে, কাঁকসা পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নসীম হায়দার মল্লিক স্বীকার করেছেন অথৈ জলে ভাসছে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা। তবে তিনি বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা এটা অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, ‘’নিজেও ভোররাত থেকে সকলের সঙ্গে রাস্তায় নেমে হাতে হাত লাগিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করেছেন। ও এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।''
অন্যদিকে একই অবস্থা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার হরিহরপুর পঞ্চায়েত। জমা জলের যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। পোকামাকড়় থেকে সাপের আতঙ্কে ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার। সেই জল পাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নিকাশী ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
রাতভর একটানা বৃষ্টিতে পুকুরের জল উপচে জলমগ্ন গোটা এলাকা। দূষিত জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষাক্ত পোকামাকড়, বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে বসবাসকারীদের। জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নৃসিংহপুর উত্তর কলোনী এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আষাঢ় মাসের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়ে যায়,মধ্যরাত থেকে সংলগ্ন একটি পুকুরের জল উপছে ঢুকতে শুরু করে গোটা এলাকায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


