সূত্রের খবর সম্পত্তি সংক্রান্ত নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি নতুন কেনা সম্পত্তি কিনলে তার রেজিস্ট্রাশনের সঙ্গেই ক্রেতার কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট নোটিশ।
রাজ্যে বাধ্যতামূলক হল সম্পত্তিকর ( Property Tax) নির্ধারণের জন্য স্বমূল্যায়ন অর্থাৎ সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট (Self-Assessment)। আগে শুধুমাত্র রাজ্যের সব পুরসভায় এই পদ্ধতি চালু ছিল। কিন্তু এবার রাজ্যের গ্রামাঞ্চলগুলিতেও এই নিয়ম চালু করার উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সেইমতই কাজ শুরু করেছে পঞ্চয়াত দফতর। নতুন জমি বাড়ি কেনার পরেই রেজিস্ট্রেশনের সময়ই সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে রাজ্যে।
নিয়ম না মানলে
সূত্রের খবর সম্পত্তি সংক্রান্ত নিয়ম না মানলে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি নতুন কেনা সম্পত্তি কিনলে তার রেজিস্ট্রাশনের সঙ্গেই ক্রেতার কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট নোটিশ। যদি কোনও ক্রেতা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে তাহলেই আইনি পদক্ষেপের পথেই হাঁটবে রাজ্য। সম্পত্তি কর ফাঁকির প্রবণতা রুখতেই এই উদ্যোগ পঞ্চায়েত দফতরের।
রাজ্য সরকারি আধিকারিকের কথায়, 'যে মুহূর্তে একজন ক্রেতা বাড়ি বা জমি কিনে তার রেজিস্ট্রেশন করাবেন, সেই সময়ই ওই সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দপ্তরে চলে আসবে। এরপর ক্রেতাকে SMS এর মাধ্যমে সম্পত্তির স্বমূল্যায়ন করতে বলা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রেতা স্বমূল্যায়ন করবেন তাকে বার্তা পাঠাতে থাকবে দপ্তর।' তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতকেও নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হবে স্বমূল্যায়নে দেওয়া যাবতীয় তথ্য যাচাই করবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত। অর্থাৎ এবারে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
সম্প্রতি অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে চালু হয়েছে এই ব্য়বস্থা। তবে তারপরেও বহু জায়গায় সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি ঠিকমতো হচ্ছে না বলেও জানা গিয়েছে। তাই এবারে রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটি বিভাগের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চলেছে পঞ্চায়েত দফতর।
সবমিলিয়ে পুরসভাগুলির পাশাপাশি এবার পঞ্চায়েত দফতরও এই একই নিয়ম চালু করতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, এই নিয়ম চালু করলে রাজ্য সরকারের আয় বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
