সংক্ষিপ্ত

শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে একই কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর মতে বিধায়করা মুখ ফেরালে যেকোনও সময় সরকার পড়ে যেতে পারে।

'পাঁচ মাসের মধ্যে পড়ে যাবে সরকার', বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এখানেই শেষ নয়, শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে একই কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর মতে বিধায়করা মুখ ফেরালে যেকোনও সময় সরকার পড়ে যেতে পারে। দুই বিজেপি নেতার এহেন মন্তব্যে রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। রবিবার শান্তনু ঠাকুর বলেন,'সরকার পাঁচ মাস ছ’মাস যখন খুশি পড়ে যেতে পারে। সরকার কী ভাবে চলে? বিধায়কদের সমর্থনে। বিধায়কেরা হঠাৎ মনে করল, আমরা সমর্থন করব না। এমন তো না হওয়ার কিছু নেই। আবার ধরুন, এমন গণআন্দোলন শুরু হল যে বিধায়কেরা বলল আমরা আজ থেকে আর বিধায়ক পদে থাকব না।' শান্তনু ঠাকুরের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত সুকান্ত মজুমদারও।

শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ জবাব,'সব সম্ভাবনাই আছে। রাজনীতিতে কোনও সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।' অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন,'এই যা পরিস্থিতি, তাতে অনেকে অনেক হিসেব করে অনেক কথা বলছেন।' বিজেপি নেতৃত্বের কথায় আমল দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সুকান্ত মজুমদার ব্যর্থতা ঢাকতে এসব ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করছেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারকে ফের একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফঢ় থেকে বাগ কমিটির মিডিয়ার মুখোমুখি হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুপ মন্তব্যের জন্যই আদালতকে মুখ খুলতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের কথায়,'যেভাবে তৃণমূল এবং বিশেষ করে অভিষেক ব্যানার্জি সব জায়গায় ধাক্কা খেতে খেতে শেষে কোর্টেও ধাক্কা খেলেন এবং আদালতকে টার্গেট করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন, এরপরে সংবিধান ও কোর্টের সম্মান ভুলুন্ঠিত হয়েছে। আদালতকেও তাই মুখ খুলতে হচ্ছে। কোর্ট যে রাজনীতির উর্ধে, তা প্রমাণের জন্যই মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে হচ্ছে।' পাশাপাশি তৃণমূল বারবার কোর্টকে টার্গেট করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বেঙ্গালুরু সফর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,'ইউপিএ চাইছে পরিধি বড় হোক। এনডিএ ও তাই চাইছে। কিন্তু কারা যাচ্ছে? তাদের কি শক্তি আছে? পাটনায় পিকনিক করেছে। এবার ব্যাঙ্গালোরে ব্যাঙ্কোয়েট করবে। কংগ্রেস হয়তো এটাকে বিজয় উৎসব করতে চাইছে। এটাই ওদের শান্তনা।'