সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়া মৈত্রর শান্তনু ঠাকুরের নামে ছাপা একটি লেটারহেড শেয়ার করেছেন। ভারত সরকারের সিলমহর রয়েছে।
অদম্য মহুয়া মৈত্র। একদিকে তাঁর ওপর নতুন ন্যায় সংহিতা আইনে যখমন দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে, তখনই তিনি বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে যাচ্ছেন। এবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস মহুয়া মৈত্রের নতুন হাতিয়ার গোমাংস পাচার ইস্যু। আর তাতেই মহুয়া নিশানা করেছেন, রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর লেটারহেড প্যাডে সীমান্তে গোমাংস বিনিময়ের ছাড়পত্র দেওযা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মহুয়া। গোটা ঘটনা তিনি তথ্য প্রমাণ সহ শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়া মৈত্রর শান্তনু ঠাকুরের নামে ছাপা একটি লেটারহেড শেয়ার করেছেন। ভারত সরকারের সিলমহর রয়েছে। সেটি শেয়ার করে মহুয়া লিখেছেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রী @BSF_India 85BN-এ ভারত-বাংলা সীমান্তে চোরাচালানকারীদের জন্য "পাস" ইস্যু করে অফিসিয়াল লেটারহেডে ফর্মগুলি মুদ্রণ করেছেন৷ এই ক্ষেত্রে 3 কেজি গরুর মাংসের অনুমতি দেওয়ার জন্য।
হ্যালো @HMOIndia, গৌ রক্ষক সেনা, গোদি মিডিয়া।' মহুয়া মৈত্রর অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুরের লেটারহেড প্যাডে বিএসএফের ৮৫ নং ব্যাটেলিয়নের নাম উল্লেখ রয়েছে। জনৈক জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তির ৩ কেজি গোমাংস (Beef) সীমান্তের ওপারে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং তা দিয়েছেন বিএসএফ।
এর আগে সীমান্তে গরু পাচারের অভিযোগ উঠেছিল বিএসএফএর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সরব ছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তারই রেশ ধরে মহুয়া মৈত্র শান্তনু ঠাকুর ও বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে গোমাংস পাচারের অভিযোগ করেন। যদিও এই বিষয় নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানি শান্তনু ঠাকুর। যদিও জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে 'পাজামা' মন্তব্যের জন্য দিল্লি পুলিশের কোপে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই চালু হওয়া নতুন ন্যায় সংহিতার ৭৯ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু তারপরই মহুয়ার পাল্টা চালে কিছুটা হলেও চাপ বাড়ছে শাসক শিবিরের।