সংক্ষিপ্ত
আদালতে ইডির দাবি, ২০০৬ সালে এলাকায় ‘গুন্ডা’ হিসাবেই পরিচিত ছিল শেখ শাহজাহান। ২০১৩ সালে বাম জমানায় রাজনীতিতে যোগ দেয় সে। এরপর ২০১৩ সালের পর সন্দেশখালিতে বিভিন্ন পদ পায় শাহজাহান।
সোমবার শাহজাহান শেখ সহ ৪ জনকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আলমগীর ও দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবু হাজরা ও শাহজাহানকে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। সন্দেশখালি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এদিকে, সোমবার সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহানকে আদালতে পেশ করা হলে ইডি জানায়, তৃণমূল নয়, বাম আমলেই উত্থান শাহজাহানের। এদিন এক সাক্ষীর বয়ান তুলে ধরে আদালতে এই তথ্য জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আদালতে ইডির দাবি, ২০০৬ সালে এলাকায় ‘গুন্ডা’ হিসাবেই পরিচিত ছিল শেখ শাহজাহান। ২০১৩ সালে বাম জমানায় রাজনীতিতে যোগ দেয় সে। এরপর ২০১৩ সালের পর সন্দেশখালিতে বিভিন্ন পদ পায় শাহজাহান। তখন ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা তোলে শেখ শাহজাহানের সঙ্গী শিবু হাজরা। এক ব্যক্তির সংস্থা থেকে নির্মাণের কাঁচামাল বিক্রির বিনিময়ে ওই টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে জিনিসপত্র না কিনলে জেলায় কোনও টেন্ডার তাকে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হত বলে আদালতে জানায় ইডি। ওই সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী আদালতে ইডির দাবি, নিজের সঙ্গীদের নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরী করে এলাকায় তোলাবাজি করত সন্দেশখালির বাদশা।
ইডির দাবি, পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ফেরি পারাবার সহ রাজ্য সরকারের একাধিক টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহান ও তার অনুগামীদের কাছে গিয়েছে। যা হয়েছে মূলত ২০১৬ এবং ২০২৩ সালে।
টেন্ডারের ব্যাপারে শাহজাহানের ভাই আলমগির ও শিবু হাজরারা মোটা কমিশনের বিনিময়ে টেন্ডার ঠিক করে দিত। রাজ্য সরকার তরফে দেওয়া বিভিন্ন টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহানের ও তার সঙ্গীদের কাছে গেছে। এই ভাবেই আর্থিক ফায়দা লুটেছে শাহজাহান ও তার সঙ্গীরা। এমনটাই আদালতে জানায় ইডি।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।