সংক্ষিপ্ত

শুক্রবার দলীয় কর্মসূচিতে ছত্তিশগড় যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। এই সফরের আগেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি।

শুক্রবার ফের একবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নিশানায় রাজ্য সরকার। এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। রাজ্যের গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই দুর্নীতিগ্রস্থ বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়,' শিক্ষা আগেই গিয়েছে জেলে, খাদ্য এখন গেল, এইবার স্বাস্থ্য যাবে জেলে।' পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন,মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বলেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সরকারি হাসপাতাল-সহ তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষ পরিষেবা পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দলীয় কর্মসূচিতে ছত্তিশগড় যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। এই সফরের আগেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি। এদিন তাঁর কথায় ঊঠে আসে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি থেকে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির অভিযোগও। নিয়োগ থেকে শুরু করে চিকিত্‍সার সরঞ্জাম সরবরাহ করা পর্যন্ত নানা খাতে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীও।

শুভেন্দুর বক্তব্য

শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,'উনি আয়ুষ্মান ভারতের বিরোধিতার করে বলেছিলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও এই কার্ড চলবে। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারী হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ক্ষেত্রে বেশকিছু রোগের চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়ী। এই দফতরের দিকে ওনার নজর নেই। হাসপাতা;ল দালালে ভরে গিয়েছে। পিজি হাসপাতাল কারা নিয়ন্ত্রণ করে সেটা সবাই জানে।মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক বিধায়ক কুকুরের ডায়েলিসিস করিয়েছেন সেখানে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।