Siliguri: উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়িতে এক নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই নার্সিংহোমে অগ্নি নির্বাপণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

DID YOU
KNOW
?
আতঙ্কের জেরে মৃত্যু?
শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা ৭০ বছর বয়সি রোগীর পরিবারের অভিযোগ, আতঙ্কের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Siliguri News: শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে ওই নার্সিংহোমের আইসিইউ-তে ভর্তি থাকা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মৃত ব্যক্তির নাম কান্তি বাসফোর। তাঁর বয়স ৭০ বছর। এই বৃদ্ধ শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই ওই নার্সিংহোমে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডায়ালিসিস ইউনিটের একটি ঘর। ওই ঘরে রাসায়নিক ভর্তি কয়েকটি জার রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়তে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় নার্সিংহোম। দ্রুত দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগীদের উপরতলা থেকে নীচে নামানো হয়। কয়েকজন রোগীকে অন্য নার্সিংহোমে স্থানান্তরিতও করা হয়।

বিস্ফোরক অভিযোগ রোগীর পরিজনদের

এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। এরই মাঝে এক রোগীর মৃত্যুর খবর আসে। তাঁর পরিবারের দাবি, আগুন লাগার আতঙ্কেই তিনি মারা গিয়েছেন। আবার অন্য এক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, আগুন লাগার সময় সেই রোগীকে ফেলে রেখেই চলে গিয়েছিলেন নার্সরা। এমনকী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রও ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার পর ওই নার্সিংহোমে অস্থায়ীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দমকল ও পুলিশ।

নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতি?

এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর পরিজনরা। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি শিলিগুড়ির অন্য নার্সিংহোমগুলিতে অগ্নিকাণ্ড ঠেকানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দাহ্য পদার্থ, রাসায়নিক মজুত রাখার ক্ষেত্রে সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।