আগারপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা জানালেন, ঝড়ের সময় ছোট ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন ৷ হঠাৎই ঝড় শুরু হতেই ভেঙে পড়ে তার দরমার ঘর ৷ তার নীচে চাপা পড়ে যান, তবে শিশুরা পিছনে থাকায় কপাল জোরে রক্ষা মিলেছে ৷  

মুহূর্তে চোখের সামনেই সব তছনছ হয়ে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্রামের ঘরবাড়িগুলো যেন উপড়ে গেল। কয়েকজন হলেন আহত । বিঘার পর বিঘা মাঠের ফসল হয়েছে নষ্ট। কতক্ষণের এই তাণ্ডবের সময়সীমা সঠিকভাবে কেউই বলতে পারলেন না। কয়েক মিনিটের দমকা ঝড় আর শিলাবৃষ্টির দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা এলাকার ৬টি গ্রাম। ঘর হারিয়ে হাহাকার গৃহহীনদের। পরি্স্থিতি খতিয়ে দেখতে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ঘরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

গাইঘাটা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটের পর হঠাৎই ঝড় শুরু হয় রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শশাডাঙা, তেঁতুলবেড়িয়ার আগারপাড়া, রঘুনন্দনপুর, ঝাউডাঙা ও পিপলি গ্রামের বিস্তৃণ এলাকা জুড়ে ৷ ঝড়ের প্রবল দাপটে একের পর এক গ্রামের প্রায় ৩৫টির মত বাড়ি ভেঙে পড়ে পড়ে । যার মধ্যে অধিকাংশ বাড়িই কাঁচা বলেই জানা গেছে। কারও ঘরের চাল গিয়েছে উড়ে। ঘরবাড়ি নষ্টের পাশাপাশি ওই এলাকায় বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল, তিল, সরষে ও সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে । খবর পেয়ে গ্রামগুলি পরিদর্শন চলে আসেন গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচি, জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস-সহ পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি দল ।

আগারপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক বাসিন্দা জানালেন, ঝড়ের সময় ছোট ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে ঘরেই ছিলেন ৷ হঠাৎই ঝড় শুরু হতেই ভেঙে পড়ে তার দরমার ঘর ৷ তার নীচে চাপা পড়ে যান, তবে শিশুরা পিছনে থাকায় কপাল জোরে রক্ষা মিলেছে ৷ মাথায় ও পিঠে আঘাত লাগা অবস্থায় ওই বাসিন্দা জানালেন, ঘর এমনভাবে ভেঙেছে যে অবশিষ্ট আর বাকি কিছুই নেই ৷ ঘরে থাকা যেটুকু খাবার ছিল তাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সব হারিয়ে একপ্রকার অথই জলে পড়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতি এই এলাকার বহু মানুষের। ঘটনাস্থ ঘুরে দেখে গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, গৃহহীনদের জন্য ত্রাণ ও ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে । আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।