- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Sovan Baisakhi: ভালোবাসা, নাকি যৌনতা, শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের অন্দরে প্রাধান্য কীসের?
Sovan Baisakhi: ভালোবাসা, নাকি যৌনতা, শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের অন্দরে প্রাধান্য কীসের?
- FB
- TW
- Linkdin
বাংলার ঘরে ঘরে তাঁদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করা হলেও, তাঁরা যে একেবারে আদর্শ ‘লাভ বার্ডস’, তা নিয়ে অনেকের মনেই কোনও দ্বিমত নেই। সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালোবাসার অন্দরে যৌন সম্পর্কের রসায়ন কেমন, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই।
‘তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ’, মান্না দে-র গানের সেই বিখ্যাত পংক্তি উদ্ধৃত করে ২০০৯ সালে বৈশাখীর উপমা দিয়েছিলেন শোভন, তা-ও আবার প্রথম দেখা হওয়ার দিনেই।
তখন থেকেই নিজের প্রাক্তন সম্পর্কের তিক্ততা ভুলতে শুরু করেন বৈশাখী। নিজের প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের বলা ‘বউ মানেই আনপেইড প্রসটিটিউট’ কথাটি ঝেড়ে ফেলতে শুরু করেন তিনি।
এরপর বহু মানুষের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বৈশাখী। কিন্তু, তাঁর মতে, সেই সমস্ত পুরুষই চেয়েছিলেন তাঁর শরীরকে, তাঁকে নয়।
তাঁর ‘প্রেজেন্টেবল’ শরীরের প্রতি পুরুষদের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বলে বুঝতে পেরেছিলেন বৈশাখী। তাই, সমস্ত প্রেম-প্রস্তাবকেই তিনি সমূলে খারিজ করে দিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি এমনই একজন মানুষের অপেক্ষায় এতদিন ছিলেন, যিনি তাঁকে সর্বদা আগলে রাখবেন।
কিন্তু, যৌবন পেরিয়ে গেলে মানুষ যখন প্রেমে পড়েন, তখন সেই প্রেমকে বাঁকা চোখে দেখেন অনেকেই। এই প্রেমের সারবত্তা কী? যৌনতা?
নিজের ভালোবাসার সম্পর্কে যৌনতার প্রয়োজনীয়তা কতটা? সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, তিনি এবং শোভন, দুজনের কেউই আর নিজেদের যৌবনের বয়সে নেই। সেই বয়সটি তাঁরা পেরিয়ে এসেছেন। এখন এই বয়সে এসে এমন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার নেপথ্যে শুধুই ভালোবাসা থাকতে হয়।
'শারীরিক সম্পর্কের সুখ, তা অনেক আগেই পিছনে ছেড়ে এসেছি', এই কথা বলে বৈশাখী জানান যে, বর্তমান বয়সে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত রাখতে গেলে ভালোবাসা এবং কেবলমাত্র ভালোবাসাই থাকতে হয়। যৌনতার স্থান এর অন্দরে খুবই নগণ্য।