সংক্ষিপ্ত

নিয়োগ দুর্নীতির আরও একটি পর্দা ফাঁস। আদালতের নির্দেশে ওআরএম শিটের জালিয়াতি প্রকাশ্যে এল।

 

ঠিক কীভাবে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, আর অযোগ্যা চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে- এবার সেই তথ্য সামনে আনতে বাধ্য হল স্কুল সার্বিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এসএসসি গ্রুপ সি পদের জন্য পরীক্ষার ওআরএম (ORM)শিট প্রকাশ করল। তাতে ৩ হাজার ৪৭৮ জনের প্রার্থীর বিস্তারিত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ORM শিটই স্পষ্ট করে দিয়েছে কীভাবে হয়েছে জালিয়াতি।

কারণ ORM শিটেই দেখা যাচ্ছে কারও প্রাপ্ত নম্বর শূন্য। কিন্তু তাকে দেওয়া হয়েছে ৫৭ নম্বর। যা অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার ফারাক তৈরি করে দিয়েছে। কারও আবার প্রাপ্ত নম্বর ১০। তাকেও দেওয়া হয়েছে ৫৭ নম্বর। কেউ এক নম্বর পেয়েছেন তাকে দেওা হয়েছে ৫৭। চাকরি প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ১ । কিন্তু যাদু বলে তা হয়ে গিয়েছে ৫৬। তবে কারও কারও আবার নম্বরে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। যাইহোক আদালতের নির্দেশে আরও নিয়োগ দুর্নীতির আরও এক জালিয়াতির ঘটনা পর্দা ফাঁস হল। কারণ আদালতের নির্দেশেই চাকরি প্রার্থীদের মূল নম্বর, ORM শিটে প্রাপ্ত নম্বর আর নম্বরের ফারাকের লম্বা তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে এসএসসি।

প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য হল গত ১০ মার্চ গ্রুপ সির ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছিল এমন অভিযোগও উঠেছিল ৫৭ জনের বিরুদ্ধে। এই দিনই বিচারত নির্দেশ দিয়েছিলেন ২ ঘণ্টার মধ্যে ৫৭ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু তার আগেই ৫৭ জনের নামের কালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি ৭৮৫ জনের সুপারিশ পত্র বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল যতই গড়াচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে আসছে। কারণ ক্রমশই ফাঁস হচ্ছে চারকি চুরি বা বিক্রি করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার বিনিময়। কারণ এদিনই আদালতে দাঁড়ি ইডি জানিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক জালিয়াতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি টাকা ছুঁয়ে গেছে। আগামী দিনে টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে পারে। যদিও আগে ইডি বলেছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ১১০ কোটি টাকার। কিন্তু তাদের ধারনা ভ্রান্ত এদিন আদালতে তা জানিয়েছে ইডি।