সংক্ষিপ্ত

কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিশীথ প্রামানিকের রক্ষকবচ খারিজ করে দিয়েছিল। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা।

 

আপাতত স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামানিক। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য় প্রশাসন- নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ নিশীথ প্রামানিকের রক্ষকবচ খারিজ করে দিয়েছিল। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কোচবিহারের বিজেপি নেতা। তাতেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এখনই নিশীথের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ।

২০১৮ সালে কোচবিহারের দিনহাটায় একটি খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গিয়েছে নিশীথ প্রামানিকের। তাঁর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের ধারা দিয়েছে। জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। সেই পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিশীথ প্রামানিক। কিন্তু এই বছর গোড়ার দিকে নিশীথের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সার্কিট বেঞ্চ।

তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার নিশীথ প্রামানিকের আবেদনের ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের জবাবও তলব করেছে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী নিশীথ প্রামানিককে প্রশ্ন করেব, 'আপনি কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন না, কিসের আশঙ্কা করছেন আপনি?' তার জবাব দেন নিশীথের আইনজীবি। তিনি বলেন, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের রক্ষাকবচের আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। গোটা বিষয়টি রাজনৈতিক বিষয় বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, যে সময়ের ঘটনার জন্য পুলিশ নিশীথের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, সেটা অনেক আগের। সেই সময় নিশীথ প্রামানিক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

নিশীথ প্রামানিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। অর্থাৎ তিনি অমিত শাহেরও ডেপুটি। পাশাপিশ ক্রীড়া মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।