সংক্ষিপ্ত
বিশেষ দায়িত্বে থাকা সিআইডি সূত্রের খবর ডিআইজি স্তরের একট অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ দলও তৈরি করা হতে পারে।
কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার। তেমনই জানিয়েছে নবান্নের একটি সূত্র। নাবান্ন সূত্রের খবর কামদুনির নিহত নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলতে পারে রাজ্য সরকার। গোয়েন্দা সূত্রের খবর এই নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দুই দোষী সাব্যস্তের ফাঁসির সাজা মকুব করেছে রাজ্য সরকার। বাকিদের কারাদণ্ডের সাজা মকুব করা হয়েছে। তাতেই রীতিমত হতাশ কামদুনি আন্দোলনের দুই প্রতিবাদী মৌসুমী ও টুম্পা। বিশেষ দায়িত্বে থাকা সিআইডি সূত্রের খবর ডিআইজি স্তরের একট অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ দলও তৈরি করা হতে পারে। এই বিষয়টি তারাই দেখবে।
কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়
শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলার রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। এদিন আদালত জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই জন সইফুল আলি ও আনসার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বাকিদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া ইমানুল ইসলাম ও আমিনুস ইসবাম ও ভোলানাথ নস্কর যেহেতু ১০ বছর জেল খেটেছে তাই তাদের খালাস করে দেওযা হয়েছে। যদিও নিম্নআদালত দুই জনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
হতাশ টুম্পা ও মৌসুমীরা
কলকাতা হাইকোর্টের রায় শোনার পরই হতাশ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারী টুম্পা ও মৌসুমীরা। এজলাসের সামনেই তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের দাবি বন্ধুর হত্যাকারীদের সঠিক সাজা দেওয়া হয়নি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের রায় শোনার পরে হতাশ হয়ে পড়েন নিহত নির্যাতিতার পরিবার ও আত্মীয়সজনও। বিচারপতির এজলাসে যাওয়ার পথেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কামদুনির অনেক বাসিন্দা। তাঁদের কথায় এমন লঘুদণ্ড শোনার আশা তাঁদের ছিল না।
কামদুনি হত্যাকাণ্ড
২০১৩ সালে কামদুনি হত্যাকাণ্ডে উত্তাল ছিল রাজ্য। এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে সরব হয় গোটা গ্রাম। গ্রামবাসীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টুম্পা , মৌসুমী-সহ গ্রামের মহিলারা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় স্কুলের শিক্ষকও।