সংক্ষিপ্ত
বৈঠক শেষে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, রেষারেষি বন্ধ করতেই হবে। জনবহুল জায়গায় রেষারেষির করলে চালকের বিরুদ্দে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
পথদুর্ঘটনায় রুখতে কড়া ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হল বেপরোয়া বাস চলাচলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে। এদিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলে বাস মালিকরা। দুর্ঘটনা রুখতে রেষারেষি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে কমিশন প্রথা তুলে দেওয়া আর দুর্ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী বলেন, রেষারেষি বন্ধ করতেই হবে। জনবহুল জায়গায় রেষারেষির করলে চালকের বিরুদ্দে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালালে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হবে। এবার চালক ঠিক করবে কীভাবে সে গাড়ি চালাবে।
রাজ্য প্রশাসনের বাস মালিকদের কাছে কমিশন প্রথা তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। পরিবহনকর্মীদের বেতন প্রথা চালু করতে আবেদন জানিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কমিশন প্রথার জন্যই বাস রেষারেষি করে। আমি বলছে একটা এসওপি করতে যেখানে কমিশন প্রথা থাকবে না।' তবে কমিশন সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে কমিশন সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাস মালিক সংগঠনগুলি।
দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রাফ্যিক আইন কঠোরভাবে মেনে চলার কথা বলেছেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইন অমান্য করলে এবার কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। অনেক প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে এসেছে। সেগুলি নিয়ে নির্দেশিকা দেবে রাজ্য সরকার। মালিকদেরও বিষয়টির ওপর নজর দিতে হবে।
তবে এই বৈঠকে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে কমিশন প্রথা শুরু মাত্র দুই ২৪ পরগনা আর কলকাতায় রয়েছে। তাহলে অন্যন্য জায়গায় পথদুর্ঘটনা হচ্ছে কেন। পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিকরা। বাস মালিকরা বলেন, মানুষ রাস্তা দিয়ে চলতে বাধ্য হয় যে শহরে , সেখানে অ্যাক্সিডেন্ট হবেই। বাস মালিকরা জনিয়েছেন, 'যৌন শিক্ষা যদি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে ট্রাফিক এডুকেশন চাই।' মহিলারা স্কুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে হেলমেট ছাড়াই যাচ্ছে। দুর্ঘটনা কমাতে যা যা করার দরকার সেটা সবাইকেই মানে হবে। শুধু জরিমানা করে দুর্ঘটনা কমানো যায় না। কারণ জরিমানা বাসের মালিককে দিতে হয়। বাস মালিকরা সচেতনতা বৃদ্ধিরও দাবি করেন।