Sundarbans: সুন্দরবনের মানুষের জীবনে সমস্যার শেষ নেই। জীবন ও জীবিকার জন্য তাঁদের রোজ লড়াই করতে হয়। এরই মধ্যে বন দফতরের (Forest Department) জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ মৎস্যজীবীদের।
KNOW
Sundarbans News: কুলতলি-সহ সুন্দরবন অঞ্চলে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বন দফতরের (Forest Department) বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে টাকা তোলার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, প্রতি মাসে মাথাপিছু ২৫০ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অথচ তার কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ আরও, টাকা দিতে অস্বীকার করলে ডোঙা ধরার সময় এক হাজার টাকা বা তারও বেশি জরিমানা চাওয়া হয়। সেখানেও রসিদের কোনও ব্যবস্থা নেই। মৎস্যজীবীদের দাবি, সরকারি নিয়ম মেনে টাকা নেওয়া হলে অবশ্যই রসিদ ও ব্যক্তিগত পারমিট দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পারমিটের আবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চিতুরি বিট অফিস সেই আবেদন গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মাছ ধরতে নামলেই বন দফতরের কর্মীদের তাড়া খেতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের, শুধুমাত্র টাকা না দেওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।
চরম সমস্যায় কয়েক হাজার পরিবার
এই অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন সুন্দরবনের কয়েক হাজার মৎস্যজীবী পরিবার। যাঁদের জীবন ও জীবিকা সম্পূর্ণভাবে মাছ ও কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা বনদপ্তরের অফিসে বিক্ষোভ দেখান। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের নেতাদের দাবি, এই টাকা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি-র (BJP) জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, মৎস্যজীবীদের উপর বন দফতরের এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কুলতলি সিপিএম-এর (CPIM) এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডলের অভিযোগ, বন দফতরের আচরণ অমানবিক, প্রয়োজনে দল আন্দোলনে নামবে। অন্যদিকে তৃণমূল (AITC) নেতা ও কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ শাহাজাদ শেখ বলেন, সাধারণ মানুষের পাশে তাঁরা আছেন এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। বিরোধীদের বক্তব্যকে অপপ্রচার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এ বিষয়ে ডিএফও নিশা গোস্বামী জানান, স্থানীয় মানুষের দাবি-দাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডিঙি নিয়ে নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরা বেআইনি বলেও তিনি জানান। তবে বন দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


